যুবকের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। আটক করা হয়েছে যুবককে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তির দাবিতে হাতে ইঞ্জেকশন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এক যুবক। ওই ইঞ্জেকশনে ‘বিষ’ রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। যুবকের হাত থেকে ওই ইঞ্জেকশন কাড়তে গিয়ে আহত হলেন এক পুলিশকর্মী। আটক করা হয়েছে ওই যুবককে।
গত শনিবার ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে আইএসএফের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদকে। ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন বিধায়ক। নওশাদের মুক্তির দাবিতে বুধবার ভাঙড়ের ঘটকপুরে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ প্রদর্শন করছিলেন আব্দুল বসির মিস্ত্রি। তাঁর এক হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল। তাতে লেখা ছিল, ‘‘ভাইজানের মুক্তি চাই।’’ অন্য হাতে ছিল একটি ইঞ্জেকশন। তাতে বিষ রয়েছে বলে দাবি করেন ওই যুবক।
বিক্ষোভরত যুবককে রাস্তা থেকে সরাতে সেখানে যায় পুলিশের একটি দল। অনুরোধ সত্ত্বেও বিক্ষোভ তোলেননি যুবক। এর পরই এক পুলিশকর্মী যুবকের হাত থেকে ইঞ্জেকশনটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় যুবকের সঙ্গে পুলিশকর্মীর ধস্তাধস্তি বেধে যায়। এই সময়ই ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ লেগে আহত হন পুলিশকর্মী। তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই ইঞ্জেকশনে কী রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বিধায়ক নওশাদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ প্রদর্শন করার সময় ওই যুবক বলেছিলেন, ‘‘ভাইজানের মুক্তির দাবিতে দাঁড়িয়ে রয়েছি। হাতে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন রয়েছে। আমার নিজের নিরাপত্তার জন্য ইঞ্জেকশন রেখেছি। আমায় জোর করে তুলে দিতে পারে। ওদের (পুলিশ) হাতির মতো শক্তি আছে। বাঘের মতো হিংস্র ওরা।’’