—প্রতীকী চিত্র
এক মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টার জেরে বুধবার সকালে ধুন্ধুমার বাধল হালিশহরে। অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এলাকার বাসিন্দারা। ভেঙে দেওয়া হয় একটি গাড়ি। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা অভিযুক্ত যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বিশ্বজিৎ দাস। অভিযোগ, এ দিন ভোরে পড়শি এক মহিলার বাড়িতে ঢুকে তাঁর শ্লীলতাহানি করে সে। বাধা দিলে বিশ্বজিৎ তাঁর গলায় ছুরি ধরে। ধস্তাধস্তিতে মহিলার গলায় ছুরি বিঁধে যায়। মহিলার সন্তানদের চেঁচামেচিতে পালিয়ে যায় বিশ্বজিৎ। বীজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী রোজ ভোরে কাজে বেরিয়ে যান। বুধবার ভোর ৫টায় বেরিয়েছিলেন। ঘরে দরজা বন্ধ করে দুই সন্তানকে নিয়ে শুয়ে পড়েন মহিলা। কোনও ভাবে দরজা খুলে বিশ্বজিৎ ঘরে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। ঘুমন্ত মহিলার শ্লীলতাহানি করে। চিৎকার করলে গলায় ছুরি চেপে ধরে। হুমকি দেয়, চিৎকার করলে খুন করে ফেলা হবে। ঘুম ভেঙে যায় মহিলার মেয়ের। সে ফোন নিয়ে পাড়ার আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। বিশ্বজিৎ তার মুখ চেপে ধরে। এরই মধ্যে ধস্তাধস্তিতে বিশ্বজিতের হাতের ছুরি মহিলার গলার পাশে বিঁধে যায়। চিৎকার করে ওঠেন তিনি। পালিয়ে যায় বিশ্বজিৎ। ঘটনা জানাজানি হলে লোকজন চড়াও হয় বিশ্বজিতের বাড়িতে। যে ঘরে বিশ্বজিৎ থাকে, পাড়ার লোকেরা সেই ঘরে চড়াও হয়ে আসবাবপত্র বাইরে ছুড়ে ফেলে। ঘরের দরজা-জানলা ভেঙে তছনছ করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। বিশ্বজিতের বাড়ির লোকেরা কেউ কেউ বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এরই মধ্যে বাড়ির বাইরে রাখা বিশ্বজিৎদের একটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় প্রতিবেশীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিতের বয়স বছর সাতাশ। তাদের পারিবারিক পোশাক এবং কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে।