মোক্তার হোসেন মণ্ডল
চলন্ত টোটোর মধ্যে প্রাক্তন স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করল এক যুবক। জনতা তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ার দক্ষিণ শিমলা গ্রামে। পুলিশ জানায়, গুরুতর জখম তুহিনা বিবিকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে পাঠানো হয়েছে বসিরহাটের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। হামলাকারী মোক্তার হোসেন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পনেরো বছর আগে স্বরূপনগরের নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের তুহিনার সঙ্গে বিয়ে হয় ওই এলাকারই গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা মোক্তারের। তাঁদের তিন সন্তান। পারিবারিক অশান্তির জেরে বছরখানেক ধরে দু’জনে আলাদা থাকতেন। ইতিমধ্যে মোক্তার দ্বিতীয় বার বিয়ে করে। তুহিনার সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদও হে যায়।
অভিযোগ, তারপরেও ফোন রে তুহিনাকে বিরক্ত করত মোক্তার। কর্মসূত্রে সে থাকে মুম্বইয়ে। সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছিল। সোমবার রাতে একাধিকবার ফোন করে প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চায় সে।
রাজি হননি তুহিনা। খেপে যায় মোক্তার। কোনও ভাবে সে জানতে পারে, মঙ্গলবার দুপুরে বাদুড়িয়ার রুদ্রপুর গ্রামে ছেলের আধার কার্ড করাতে আসবেন তুহিনা।
তাঁর উপরে হামলার ছক কষে মোক্তার। পুলিশ জানতে পেরেছে, রুদ্রপুর বাজার থেকে ভোজালি কেনে ওই যুবক। বেলা ১১টা নাগাদ টোটোয় করে তুহিনাকে যেতে দেখে তাতে উঠে পড়ে। দু’জনের বচসা শুরু হয়। প্রাক্তন স্ত্রীকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি শুরু করেন মোক্তার। তুহিনা আপত্তি জানান। অভিযোগ, কথা কাটাকাটির মাঝে হঠাৎই ভোজালি বের করে তুহিনাকে কোপাতে থাকে মোক্তার। রক্তাক্ত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন ওই তরুণী। দক্ষিণ শিমলা গ্রামে বেলা দুপুরে তখন আশপাশে অনেক মানুষজন। টোটো চালক-সহ অন্যান্য যাত্রীদের চিৎকারে আশপাশের লোক জড়ো হয়ে যায়। জনতা ধরা ফেলে মোক্তারকে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। মোক্তার বলে, ‘‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলাম
ঠিকই, কিন্তু তুহিনাকে যে এখনও ভালবাসি, সে কথা ও কিছুতেই বুঝতে চাইছিল না। তাই রাগের মাথায় অঘটন ঘটিয়ে ফেলেছি।’’