প্রতীকী ছবি
করোনায় আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যু হল বসিরহাটে। মঙ্গলবার রাতে কলকাতার হাসপাতালে মারা যান বসিরহাট ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝবয়সী ওই ব্যক্তি। কয়েক দিন আগে অন্য অসুস্থতা নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। লালারস পরীক্ষায় পজ়িটিভ আসে। মারা যান তিনি। বসিরহাট আদালতের মুহুরি ছিলেন তিনি। পুর কর্তৃপক্ষ বুধবার এই কথা জানিয়েছেন। তাঁর বাড়ির চত্বর জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। এলাকাটি কন্টেনমেন্ট করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
বসিরহাট পুলিশ জেলার এক আধিকারিকের দেহরক্ষীর লালারস পরীক্ষায় করোনা পজ়িটিভ মিলেছে। স্যানিটাইজ় করা হয়েছে অফিস চত্বর। এই নিয়ে বসিরহাট পুর এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪৭। মারা গিয়েছেন ৯ জন।
বসিরহাট ২ ব্লকে ৯০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত বসিরহাটে করোনায় ৭৭২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।’’ এই পরিস্থিতিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কায় ভূগতে শুরু করেছেন মানুষ। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে বসিরহাটের তিনটি পুরসভা এলাকায় লকডাউনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
আগের বার লকডাউনের তুলনায় এখন কাজ হচ্ছে বেশি। বুধবার বাদুড়িয়া পুরসভা এবং ব্লক এলাকায় হাট, বাজার ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তা ছিল সুনসান। ব্যবসায়ী সমন্বয় সমিতির পক্ষে গৌতম গুপ্ত, নুরুল ইসলাম, স্বপন ঘোষরা জানান, মানুষ স্বতঃপ্রনোদিত ভাবে লকডাউন পালন করছেন। এ বার পুলিশ ও প্রশাসনের বিশেষ হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি। কোথাও তেমন লোকজনের দেখা মিলছে না। যাঁরা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন, তাঁদের প্রায় সকলের মাস্ক পরা।’’
টাকির মানুষও লকডাউনে সাড়া দিয়েছেন। তবে এখনও গ্রামের দিকে কেউ কেউ মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন বলে নজরে পড়ছে। দোকান-বাজার খোলা থাকলেও সেখানে ভিড় জমতে দেখা যাচ্ছে। তবে আগের বার লকডাউনের সময় যেমন নিয়ম ভাঙার প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল, এ বার সেই পরিস্থিতি তুলনায় শুধরেছে।
বসিরহাটেও এ বার লকডাউনে মানুষজন রাস্তায় বেরোচ্ছেন কম। মাস্ক ব্যবহার বেড়েছে। কিছু জায়গায় কেনাকাটা করতে সামান্য ভিড় দেখা গেলেও গতবার লকডাউনের থেকে এ বার মানুষ অনেক বেশি সতর্ক বলে মনে করছে প্রশাসন।