প্রতীকী ছবি।
বচসার জেরে প্রতিবেশীকে দায়ের কোপ মারে যুবক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় আক্রান্তের। বছর তিনেক আগের সেই ঘটনায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বারুইপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালত।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। ভাঙড়ের কাশীনাথপুরের বাসিন্দা বছর চল্লিশের জালাল সর্দারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে ঝামেলা ছিল ওই এলাকারই বাসিন্দা শেখ বাবলু ওরফে দুখের। ঘটনার দিন সন্ধেবেলা চন্দনেশ্বর বাজারের কাছে একটি চায়ের দোকানে দু’জনের ফের বচসা বাধে। সাময়িক ভাবে ঝামেলা মেটে। বাবলু বাড়ি ফিরে যায়। জালালও বাড়ির পথ ধরেন। বাবলু পথেই আক্রমণ করে জালালকে। দা দিয়ে কোপ মারে জালালের গলায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে জালালকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পর দিন বাবলুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন জালালের ছেলে সালাউদ্দিন। কিছু দিনের মধ্যেই ধরা পড়ে বাবলু।
এই মামলায় বুধবার বাবলুকে দোষী সাব্যস্ত করেন বারুইপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারপতি রমেন্দ্রনাথ মাখাল। বৃহস্পতিবার তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয় দোষীকে। জরিমানার টাকা জালালের বিধবা স্ত্রী আনজোরা বিবিকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা না দিলে বাবলুকে অতিরিক্ত ৬ মাস জেল খাটতে হবে বলে জানান সরকার পক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হালদার।