মাছ ধরার ঘুনি আটলে ধরা পড়েছিল আস্ত একটা কেউটে সাপ। ওই বিষধরটিকে না দেখে সেই ঘুনি আটলে হাত ঢোকাতেই ছোবল খেলেন আমডাঙার এক ব্যক্তি। গুরুতর অসুস্থ ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেউটে সাপটিকে উদ্ধার করেছেন বন দফতরের কর্মীরা। তবে নিজেদের বসতির পাশেই প্রায় ৫ থেকে ৬ ফুট লম্বা ওই কেউটে সাপটিকে দেখে রীতিমতো আতঙ্ক ছ়ড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আমডাঙার খোড়ু গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গজবন্দ গ্রামের বাসিন্দা আসকার আলি প্রতিদিনের মতো শনিবারও মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। খোড়ু গ্রামের মাঠের জলাজমিতে মাছ ধরার জন্য একটি ঘুনি আটল পেতেছিলেন তিনি। ছাঁকনি জাতীয় ওই বাঁশের আটলের ফাঁদে মাছের বদলে ধরা পড়ে কেউটেটি। তাতে হাত ঢোকাতেই কেউটের কামড়ে রক্তাক্ত হয়েছেন আসকার। বাপি মণ্ডল নামে আসকারের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘আসকার মাছ ধরার কাজ করে। রাতে মাঠে আটল পেতেছিল। সকালে সেটি তুলতে গিয়ে কেউটে সাপের কামড় খেয়েছে। তবে কুসংস্কারবশত ঝাড়ফুঁক না করে আসকারকে সরাসরি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’
সাপে কাটা আসকারকে প্রথমে আমডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগীর সঙ্গে সাপটিকেও সেখানে পাঠানো হয়েছিল। আসকারের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকেরা তাঁকে ও উদ্ধার হওয়া সাপটিকে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। পরে বন দফতর ওই সাপটিকে নিয়ে যায়। আসকারের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল।