রুহুল আমিন গাজি। নিজস্ব চিত্র
ক্যানিংয়ে গৃহবধূ খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ক্যানিংয়ের দাঁড়িয়া পঞ্চায়েতের ঠাকুরানিবেড়িয়া গ্রামে বুধবার সকালে বাড়ির কাছে বাঁশবাগান থেকে সত্যভায়া মণ্ডল নামে এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ মেলে। জয়ন্তী নামে এলাকায় পরিচিত ওই মহিলা কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করতেন। তদন্তে নেমে রাতেই রুহুল আমিন গাজি নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, রুহুল আমিনের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল জয়ন্তীর।
রোজকার মতো ওই দিন ভোরে বাড়ি থেকে কাজের জন্য বেরিয়েছিলেন তিনি। পরে জয়ন্তীর ছেলে গোপাল বাড়ির কাছে বাঁশ বাগানে মায়ের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মৃতদেহের গলায় কাপড়ের ফাঁস দেখে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান করে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরাও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে জয়ন্তীর ফোনের কল রেকর্ডে একটি নম্বর দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। দেখা যায়, গত এক মাস ওই নম্বর থেকে ছ’শোর বেশি ফোন এসেছে জয়ন্তীর ফোনে। পুলিশ জানতে পারে ওই নম্বরটি জীবনতলার হোমরা গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন গাজির। মোবাইল ফোনের টাওয়ারের সূত্র ধরে জানা যায়, ঘটনার আগের রাতে রুহুল জয়ন্তীর বাড়ির আশেপাশেই ছিল। খুনের পর জয়ন্তীর ফোন নিয়ে সে চলে যায় বলেও জানতে পারে পুলিশ। সেই ফোন নিজের বাড়িতে গিয়ে বন্ধ করে দেয়। তা দেখেই পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, খুনের পিছনে রুহুল আমিনের হাত রয়েছে। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, দীর্ঘদিন ধরেই রুহুল আমিনকে নানা ভাবে ব্ল্যাকমেল করছিল জয়ন্তী। প্রায় সময় টাকা দাবি করত। রুহুল ছাড়া আরও কয়েকজন পুরুষের সঙ্গে জয়ন্তীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি করে ধৃত। সব মিলিয়ে জয়ন্তীর উপর ক্ষোভ জমা ছিল তার। সেই কারণেই খুন করেছে বলে পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।