বধূকে নেড়া করে ভিডিয়ো, অভিযুক্ত স্বামী

ঘটনার পরে ওই গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারের লোকজন লজ্জায় বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না দাবি করে তাঁরা রবিবার দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ জানান। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক বধূকে সন্দেহের বশে অত্যাচারের অভিযোগ উঠল তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।

Advertisement

অভিযোগ, বধূ ও তাঁর সঙ্গে থাকা এক যুবককে তুলে এনে দড়ি দিয়ে বেঁধে, মারধর করে তাঁদের দু’জনেরই মাথার চুল কেটে নেওয়া হয়েছে। তার পরে সেই অত্যাচারের ভিডিয়ো তুলে তা আপলোডও করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সমগ্র ঘটনার অভিযোগ উঠল বধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।

ঘটনার পরে ওই গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারের লোকজন লজ্জায় বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না দাবি করে তাঁরা রবিবার দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ জানান। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, ১১ বছর আগে দেগঙ্গার কলসুর শেখের মোড় মুন্সিপাড়ার ওই তরুণীর সঙ্গে চাকলার রায়খোলার শরিফুল বৈদ্যের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি আট বছরের ছেলে ও চার বছরের মেয়েও আছে। মাস পাঁচেক আগে শারীরিক অসুস্থতার জন্য নিজের বাড়িতে যান ওই বধূ। তার পরে একটি নার্সিংহোমে ওই বধূর অস্ত্রোপচার হয়। তার পর থেকে মা-বাবার বাড়িতেই থাকতেন তিনি।

পুলিশের কাছে গৃহবধূ এ দিন আরও জানান, দিন ১৫ আগে পরিচিত এক যুবকের সঙ্গে বাদুড়িয়ার রাজাপুরে এক জরুরি কাজে যান। অভিযোগ, খোঁজ পেয়ে সেখানে কয়েক জনকে নিয়ে মোটরবাইকে চেপে হাজির হন শরিফুল। স্ত্রীর সঙ্গে ওই যুবককে দেখে তিনি মহিলার চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে মারধর করতে থাকেন। তার পরে দুজনকেই বাইকে চাপিয়ে নিয়ে চলে যান চাকলায়। সেখানে দড়ি দিয়ে দু’জনকে বেঁধে রেখে দু’ঘণ্টা ধরে জনসমক্ষে চলে মারধর। এখানেই শেষ নয় এর পরে দু’ জনের মাথা নেড়া করে দেওয়া হয়। তার পরে তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।

মারধরের পরে স্থানীয় চাকলা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে এসে গৃহবধূকে তুলে দেওয়া হয় তার বাবার কাছে। আর যুবকের অপরাধের শাস্তি হিসাবে জরিমানা করা হয় ৪০ হাজার টাকা।

গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে রবিবার শরিফুল-সহ শ্বশুরবাড়ির আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় দেগঙ্গা থানায়। এ দিন অভিযুক্ত শরিফুলের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। এ দিন উত্তর ২৪ পরগনার এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।’’

গৃহবধূর বাবা ইজারুল হক তরফদার এ দিন বলেন, ‘‘ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও সে দিন উদ্ধারে যায়নি পুলিশ। আজ অভিযোগ নেওয়ায় পরে সুবিচারের আশায় রয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement