রূপচাঁদ মণ্ডল, নিহত তৃণমূল নেতা। — নিজস্ব চিত্র।
উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল আমডাঙা থানার পুলিশ। ধৃতের নাম আকবর আলি মণ্ডল ওরফে গুন্ডা। আকবরই রূপচাঁদকে লক্ষ্য করে বোমা মেরেছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ। আকবর ছাড়াও এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর ফলে এই ঘটনায় মোট গ্রেফতারির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ছয়।
আমডাঙা পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত রূপচাঁদ। গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় কামদেবপুর বাজারে দাঁড়িয়ে কয়েক জনের সঙ্গে গল্পগুজব করছিলেন রূপচাঁদ। সেই সময় আচমকা বোমা পড়তে শুরু করে আশপাশে। বোমের ঘায়ে মারাত্মক জখম হন রূপচাঁদ। তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে রাতারাতি স্থানান্তরিত করানো হয় বারাসতের একটি নার্সিংহোমে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। রূপচাঁদের পরিবার থানায় এফআইআর দায়ের করে। তাতে নাম ছিল আনোয়ার হোসেন মণ্ডল, আফতাব-সহ কয়েক জনের। এফআইআরের প্রেক্ষিতে তদন্তে পুলিশ বুঝতে পারে, পরিবার আনোয়ার বা আফতাবকে মূল অভিযুক্ত হিসাবে মনে করলেও রূপচাঁদকে খুনের পিছনে মূল হাত রয়েছে অন্য কারও। সেই মোতাবেক তদন্ত এগোতেই পুলিশ জানতে পেরে যায় মূল অভিযুক্ত আকবর। রূপচাঁদকে লক্ষ্য করে বোমা মেরেছিলেন আকবরই। কিন্তু তাঁর নাম ছিল না এফআইআরে। একই সঙ্গে রূপচাঁদ খুনে জড়িত সন্দেহে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই রূপচাঁদকে খুন করা হয়েছে। ধৃত চার জনই আমডাঙা থানা এলাকারই বাসিন্দা। তিন জনের বাড়ি সোনাডাঙাতেই। যেখানে রূপচাঁদও থাকতেন। ফলে ব্যক্তিগত শত্রুতার ঘটনা প্রথম থেকেই মাথায় ছিল পুলিশের। তদন্তের গতিপ্রকৃতি থেকেও একই জিনিস উঠে আসে। ধৃত চার জনের নামেই পুরনো একাধিক অভিযোগ রয়েছে পুলিশের খাতায়।