তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্ত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূলের ‘রঙিন’ নেতা মদন মিত্রের। যে সব অস্ত্র ধরা পড়বে সেই অস্ত্রগুলো দিয়েই তৃণমূলকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে দাবি করেন তিনি। শনিবার নৈহাটির রাজেন্দ্রপুরে মহিলা তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন মদন। সেখানে গিয়েই এই মন্তব্য করলেন মদন। সঙ্গে খোঁচা দিলেন বিরোধী গেরুয়া শিবিরের নেতা দিলীপ ঘোষকেও। সোনারপুর শুটআউট প্রসঙ্গে কথা ওঠাতে মদন বলেন, ‘‘দিলীপবাবু বলেছেন, ওঁরা ওঁদের কর্মীদের ঘরে ঘরে অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছেন। এগুলো তারই অংশ। তবে অস্ত্র কোথায় পৌঁছচ্ছে জানতে পারলে আমাদের ভালই হবে। আমাদের কর্মীরা গিয়ে ওগুলো নিয়ে নেবে। আমাদের কাছে ভাল প্রশিক্ষক রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রাক্তন সেনাকর্মী এবং কর্নেল। আমাদের কর্মীরা ওই বন্দুক নিয়ে প্র্যাকটিস করবে যাতে সেগুলো বিজেপি ব্যবহার করতে না পারে। আমাদের কর্মীরা বন্দুকে গুলি ঢোকাতে এবং বার করতেও শিখবে।’’ তবে সেই বন্দুক ব্যবহার শিখে তার ব্যবহারিক প্রয়োগ হবে কি না তার জবাবে মদন বলেন, ‘‘আমাদের শিখে রাখলেই হবে। ব্যবহার করার দরকার পড়বে না। ফাঁকা মাঠ তো।’’
সম্প্রতি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ইন্দিরার বিকল্প হিসাবে তিনি দলনেত্রী মমতাকে দেখেন বলেই ফিরহাদ দাবি করেছেন। নৈহাটির কর্মসূচির পর সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে মদনের কথায়।
তিনি বলেন, ‘‘ফিরহাদ পুরনো এবং অভিজ্ঞ নেতা। উনি নিশ্চয়ই কিছু মিল পেয়েছেন। ইন্দিরা যে সাহস নিয়ে রাজনীতি করেছেন, মমতাও সেই সাহস নিয়ে রাজনীতি করেন। সিপিএমকে কেউ ক্ষমতা থেকে সরাতে পারেনি। মমতা পেরেছেন। তাই যদি ইন্দিরার সঙ্গে মমতার তুলনা করে থাকে ববি, তা হলে ভুল কিছু করেনি। মমতার এখনও অনেক পথ চলা বাকি। অপেক্ষা করুন। এক দিন ইন্দিরার জায়গায় মমতা যাবেন। দেখতে পাবেন।’’