পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে উপচে পড়েছে মহিলাদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড এলাকায় মঙ্গলবার উপচে পড়ল ভিড়। মূলত মহিলারাই ছিলেন।
পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের উত্তর গাজিপুর জমাদারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ দিন ছিল কর্মসূচি। ক্যাম্প থেকে জবকার্ড, রেশনকার্ড, কন্যাশ্রী-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে ভিড় জমান এলাকার মানুষ। ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ২ বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায়, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আরাবুল ইসলাম, ওহিদুল ইসলাম, হাকিমুল ইসলাম।
দীর্ঘ দিন ধরে পাওয়ার গ্রিড এলাকায় জমি আন্দোলনের জেরে বন্ধ ছিল সরকারি বিভিন্ন পরিষেবার কাজ। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের দীর্ঘ দিন পরে হাইকোর্টের নির্দেশে পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়। তারপরেও জমি কমিটির বাধায় প্রধান, উপপ্রধান পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারেন না। যে কারণে সাধারণ মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মাছিভাঙা গ্রামের আর্জিনা বিবি বলেন, ‘‘আমরা গরিব মানুষ। স্বামীরা না খাটলে দু’বেলা খাবার জোটে না। অথচ আমাদের জবকার্ড নেই। পঞ্চায়েত অফিসে গেলে কাউকে পাওয়া যায় না। বাড়ির কাছে ক্যাম্প হচ্ছে। যদি জবকার্ড পাওয়া যায়, তাই সকাল থেকে লাইন দিয়েছি।’’ কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা নিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রীরাও ভিড় করেছিল।
এই সূত্রেই জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান এ দিন তোপ দেগেছেন আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘‘বাপ-ব্যাটার জন্য এই এলাকার উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। ওরা এই এলাকায় গুন্ডারাজ কায়েম করেছে। মানুষের বাধায় তারা আজ পঞ্চায়েতে উঠতে পারে না। তাই মানুষ পরিষেবা পেতে সরকারি ক্যাম্পে ভিড় করেছেন।’’
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হাকিমুল বলেন, ‘‘আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা যাতে সাধারণ মানুষ পান, সে জন্য এই এলাকায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির ক্যাম্প করা হয়েছে।’’
বিডিওর কথায়, ‘‘এই এলাকায় মানুষের যে পরিমাণ চাহিদা দেখছি, তাতে করে এই এলাকায় আরও ক্যাম্প করতে হবে আগামী দিনে। যাতে এলাকার সমস্ত মানুষ সরকারি পরিষেবা পান, সে ব্যবস্থা করা হবে।’’