প্রচারে: সায়ন্তন বসু। নিজস্ব চিত্র।
বাইক-বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর।
কয়েক দিন আগে এক বিজেপি কর্মীর বাইকে চেপে প্রচারে বেরোন সায়ন্তন। সেই কর্মী বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই শুক্রবার নতুন বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির এই তরুণ নেতা। এদিন বাইক মিছিল করে প্রচারের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সায়ন্তন অবশ্য বাইক মিছিলের কথা অস্বীকার করেছেন।
এ দিন সকালে টাকি থেকে মোটর বাইকে চেপে হাসনাবাদের বনবিবি সেতু হয়ে হিঙ্গলগঞ্জে যান সায়ন্তন। ‘অনুপ্রবেশকারী’ তকমা পাওয়া সেই কর্মীর বাইকেই এ দিন ফের সওয়ার হয়েছিলেন। হিঙ্গলগঞ্জে ঢাক-ব্যান্ড বাজিয়ে কালীবাড়িতেপুজো দিয়ে শুরু হয় প্রচার। কর্মী-সমর্থক সহ উপস্থিত সকলের মধ্যে লাড্ডু বিতরণ করা হয়। স্থানীয় বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি প্রার্থী। আনাজপত্রের দাম জানতে চান। মিষ্টির দোকানে ঢুকে জিলিপিও খান।স্থানীয় দোল মন্দিরে গেলে মহিলারা উলুধ্বনি দিয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে, মালা পরিয়ে, আবির দিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে বরণ করেন।
কর্মিসভা করার পরে বসিরহাটে আসেন সায়ন্তন। এই ভাবে কখনও হেঁটে, কখনও বাইকের পিছনে বসে প্রচার চলে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সম্প্রতি ভ্যাবলা হাইস্কুল মাঠে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সায়ন্তন। তার বিরুদ্ধে থানায় ও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও দায়ের হয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বিজেপি প্রার্থীকে শোকজ করা হয়। এ সবের জেরেএ দিন বিজেপি প্রার্থীকে তুলনায় সংযত দেখা গিয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রার্থী বাইক মিছিল করে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল।
দলের নেতা ফিরোজ কামাল গাজি বলেন, ‘‘একে তো বিজেপি প্রার্থী বিতর্কিত কথা বলে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। তার উপরে আবার এ দিন নির্বাচনী বিধি ভেঙে মোটর বাইক মিছিল করলেন।’’ এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানানো হয় তৃণমূলের তরফে।
সায়ন্তন অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘আমি কোনও বাইক মিছিল করিনি। টাকি-হাসনাবাদ থেকে দলীয় সমর্থকদের কেউ কেউ হিঙ্গলগঞ্জে যাওয়ার জন্য মোটর বাইক ব্যবহার করতে পারেন।’’