প্রতীকী ছবি।
দুই বন্ধুর সঙ্গে পুজোয় বেরিয়েছিলেন দীপঙ্কর শিকারি নামে এক যুবক। তার পর থেকে খোঁজ মিলছে না তাঁর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বেধেছে পানিহাটির নাটাগড়ে।
অভিযোগ, নিখোঁজ যুবকের পাড়ার লোকজন বুধবার রাতে ওই দুই বন্ধুর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান। মারধর করা হয় বাড়ির মহিলাদেরও। ওই দুই বন্ধুর দাবি, দীপঙ্কর মাঝপথে তাঁদের মোটরবাইক থেকে নেমে পড়েছিলেন। তার পরে কী ঘটেছে, তাঁরা জানেন না। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত দীপঙ্করের খোঁজ মেলেনি। পুলিশে নিখোঁজ-ডায়েরি করেছে তাঁর পরিবার। দীপঙ্করের বাড়ির কাছেই ওই দু’জনের বাড়ি। ফলে উত্তেজনা দিনদিন বাড়ছে। তদন্ত শুরু করেছে ঘোলা থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নাটাগড়ের সুভাষনগর এলাকার বাসিন্দা দীপঙ্করের ওই দুই বন্ধুর নাম শক্তি সর্দার ও উত্তম বিশ্বাস। তিন জনেই গাড়ি এবং অটো চালান। সেই সূত্রে তাঁদের প্রায়ই একসঙ্গে ঘুরতে দেখা যেত। আগে তাঁরা একসঙ্গে বাইরে বেড়াতেও গিয়েছেন। অভিযোগ, ষষ্ঠীর দিন উত্তম ও শক্তি বাড়ি থেকে দীপঙ্করকে ডেকে এনেছিলেন। দীপঙ্করের ভাই সজল বলেন, ‘‘ওরা বলেছিল, দিঘা বেড়াতে যাবে। কিন্তু পরে জানতে পারি, ওরা দিঘা যায়নি। এ দিকে, ঘটনার পরে দু’দিন কেটে গেলেও দাদা না ফেরায় আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। ওদের কাছে জানতে চাই, দাদা কোথায়? ওরা উত্তর দেয়নি।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, সপ্তমীর রাতে শক্তি এলাকায় ফেরেন। সে খবর জানতে পেরে তাঁর কাছে হাজির হন দীপঙ্করের পাড়ার ছেলেরা। তাঁরা শক্তির কাছে দীপঙ্করের খবর জানতে চান। তিনি কিছু জানাতে পারেননি। তার পরেই শক্তিকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা শক্তি। উত্তমেরও খোঁজ মিলছে না। যদিও উত্তমের পরিবারের দাবি, তিনি এলাকাতেই আছেন। উত্তমের পিসতুতো ভাই সন্তু অধিকারীর দাবি, সে দিন শক্তি এবং উত্তম দীপঙ্করকে তাঁর বাড়ি থেকে ডেকে আনেন ঠিকই। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরেই আট নম্বর রেলগেটের কাছে দীপঙ্কর নেমে যান। তার পরে তিনি কোথায় গিয়েছেন, তা উত্তম জানেন না। শক্তি জানেন কিনা, তা জানা যায়নি। কারণ সপ্তমীর পর থেকে তিনি এলাকাছাড়া।
উত্তমের পরিবারের অভিযোগ, সপ্তমী থেকেই তাঁদের বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাই তাঁরা আতঙ্কে ছিলেন। অভিযোগ, বুধবার রাতে আচমকা কয়েক জন উত্তমের বাড়িতে এবং পাশের এক আত্মীয়ের বাড়িতে হামলা চালান। মারধরও করা হয়।