এই ভাবেই নির্বিচারে বারাসত-টাকি রোডে চলছিল গাছ কাটার কাজ। ফাইল চিত্র
থমকে রয়েছে বারাসত–টাকি রোড সম্প্রসারণের কাজ। ওই রাস্তায় বেড়াচাঁপা থেকে বসিরহাট দ্বিতীয় পর্যায়ে রাস্তা সম্প্রসারণ শুরু হয়নি এখনও। আদালতের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে রাস্তার ধারের গাছ কাটা। এ সবের মধ্যেই অভিযোগ উঠছে, শুকনো ডাল কাটার নামে কিছু দিন ধরে রাস্তার ধারের মূল্যবান গাছ অবাধে কাটা হচ্ছে। আইন বাঁচাতে গোড়াটুকু রেখে কেটে ফেলা হচ্ছে গোটা গাছই!
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বেড়াচাঁপার দক্ষিণ কাউকেপাড়ায় দু’-একটি ডাল রেখে চলছে গোটা গাছ কাটার কাজ। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, বারাসত-টাকি রোড সম্প্রসারণ দু’বছরের বেশি সময় ধরে চললেও তা এখনও শেষ হয়নি। প্রথম পর্যায়ের ২১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ ঢিমেতালে চলছে। যেটুকু কাজ হয়েছে, তার বেশ কিছু অংশে রাস্তা ফেটে যাচ্ছে। সাময়িক ভাবে জোড়াতালি দিয়ে মেরামতি করা হচ্ছে। রাকিবুর আলি মণ্ডল নামে এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারখানেক গাড়ি চলে। ২০-৪০ টনের ভার বহন করতে পারে রাস্তাটি। অথচ ৭০ টনেরও বেশি মাল নিয়ে লরি যাতায়াত করে। এ সব অনিয়ম বন্ধ না করে গাছ কেটে কী হবে?’’ সুমন কর, তিমির হালদার, রবিউল ইসলামেরা জানান, শুকনো ডাল কাটার অনুমতি থাকলেও পুরো গাছ কেটে গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে।
কেন গোটা গাছ কাটছেন? প্রশ্ন শুনেই কাজ থামিয়ে কর্মীরা জানান, বিডিও অনুমতি দিয়েছেন। দেগঙ্গার বিডিও সুব্রত মল্লিককে সে কথা জানালে তিনি বলেন, ‘‘এ সবের কিছুই জানি না।’’ তবে বেআইনি ভাবে গাছ কাটা হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পূর্ত আধিকারিক রাজা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঝড়-বৃষ্টির মরসুম আসছে। ডাল ভেঙে বিপত্তি ঘটলে এবং গাছের জল পড়ে রাস্তার ক্ষতি এড়াতে বারাসত-টাকি রোডের ধারের ডাল কেটে নেওয়া হচ্ছে।’’ যদিও ডালপালার নাম করে গোটা গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ শুনে পূর্ত আধিকারিক বলেন, ‘‘এমন কিছু হলে সেটা অন্যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’