কর্মব্যস্ত: টহলে নেমেছে ওরা
সাগর পাড়ে ঘুরছে ওরাও। তবে পুণ্যস্নানের আশায় নয়। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের তরফে টহল দিচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর লিলি ও রোমিও।
শনিবার সকাল থেকে গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির স্নান শুরু হবে। সে দিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শাহী স্নানের যোগ রয়েছে। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী মাহেন্দ্রক্ষণে সমুদ্রে স্নান সারবেন। এত মানুষ এক সঙ্গে জলে নামায় বিপদের ঝুঁকি থাকছেই।
পরিস্থিতি সামলাতে নানা ভাবে প্রস্তুতি সেরে রেখেছে প্রশাসন। সেই সূত্রেই এনডিআরএফের কলকাতার সেকেন্ড ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর লিলি ও রোমিয়োকেও নামানো হয়েছে কাজে। এনডিআরএফ সূত্রের খবর, ল্যাব্র্যাডর প্রজাতির কুকুর দু’টি দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কাটতে পারে।
এনডিআরএফের তিনটি ব্যাটালিয়নের ৭৫ জন কর্মী এ বার সাগর মেলায় বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করবেন। ডুবন্ত পুণ্যার্থীদের উদ্ধারে রিমোট পরিচালিত লাইফ বয়াও কাজে লাগানো হবে। কেউ বিপদে পড়লে রিমোটের সাহায্যে সৈকত থেকে ১০০ মিটার ভিতরেও ‘ইউ’ আকৃতির ‘লাইফ বয়া’ পাঠিয়ে ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধার করা যাবে। এই লাইফ বয়া ঘণ্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটার গতিতে উত্তাল ঢেউ কাটিয়েও পৌঁছে যেতে পারবে ডুবন্ত মানুষের কাছে।
এনডিআরএফের এক আধিকারিক রমেশকুমার শর্মা বলেন, “এ বার গঙ্গাসাগর মেলায় প্রচুর মানুষের ভিড় হবে। সমুদ্রের জলস্তরও গত কয়েক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জোয়ারের সময়েও হঠাৎ প্রচুর জল বেড়ে যাওয়ার কারণে সমস্যা হতে পারে। কেউ সমস্যায় পড়লে তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করতেই এই উদ্যোগ।”
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গঙ্গাসাগরের উপকূলে এনডিআরএফের সদস্যেরা স্পিড বোটে টহল দেন। মহড়া চলে দু’টি কুকুর ও লাইফ বয়া নিয়েও।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, “জলে নেমে কেউ বিপদে পড়লে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। এনডিআরএফ এই কাজে কার্যকরী হবে বলে আমরা আশাবাদী।”