লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই বারংবার রাজনৈতিক সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়ের একাংশ। তাই আজ, শনিবার, ভোটের দিন ভাঙড় নিয়ে বিশেষ ভাবে চিন্তিত লালবাজারের কর্তারা। সেই কারণে ভাঙড়ের যে চারটি পঞ্চায়েত এলাকা কলকাতা পুলিশের অধীনে রয়েছে, সেখানে সব ধরনের অশান্তি এড়াতে প্রায় সাড়ে চারশো পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। ওই বাহিনী ছাড়াও সেখানে থাকবেন এক জন যুগ্ম নগরপাল পদমর্যাদার অফিসার। সঙ্গে থাকবেন দু’জন উপ নগরপালও। এ ছাড়া, গোটা এলাকা সাতটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। সাত থেকে ন’টি বুথ নিয়ে তৈরি হয়েছে এক-একটি সেক্টর। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকছেন তিন জন করে পুলিশকর্মী।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বৈঠক করেছেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। সেখানে নগরপাল বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, ভোটগ্রহণ পর্ব যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে মেটানো যায়, তা দেখতে হবে। এর জন্য যা যা করণীয়, করতে হবে। সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের সুনাম যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, সে কথাও বাহিনীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের প্রধান।
শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স (কেএলসি) থানা এলাকায় ঢোকার এবং বেরোনোর রাস্তার চার জায়গায় নাকা-তল্লাশি শুরু হয়েছে। মোট ২০ জন পুলিশকর্মীকে নিয়ে গঠিত চারটি দল ওই থানা এলাকার হাতিশালা, তারদহ রোড, ভোজেরহাট এবং বাসন্তী হাইওয়ের জলপথে নাকা-তল্লাশি চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে দশটি জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। যার দায়িত্বে রয়েছেন এক জন করে অফিসার এবং চার জন করে অধস্তন পুলিশকর্মী। লালবাজারের তরফে ছ’টি আর টি মোবাইল ভ্যানও শুক্রবার থেকে এলাকায় ঘুরছে। সেই সঙ্গে দুই জায়গায় থাকছে এইচআরএফএস (হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড) বাহিনী। এ ছাড়া, থানা এবং ডিভিশনে থাকছে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’। গোয়েন্দা বিভাগের চারটি দলও টহল দেবে ওই এলাকায়।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেএলসি থানা লালবাজারের অধীনে এলেও সে বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক দলের প্রার্থীরা জিতে যাওয়ায় কলকাতা পুলিশ এলাকায় কোনও ভোটই হয়নি। তাই সে দিক থেকে দেখলে এ বারই প্রথম কলকাতা পুলিশ এলাকায় পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে। কেএলসি থানা এলাকায় ভাঙড়ের বামনঘাটা, বেওতা ১ ও ২ এবং তারদহ— এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪১টি ভোটকেন্দ্রের ৭৩টি বুথে আজ ভোটগ্রহণ। ভোটদাতার সংখ্যা ৬৮ হাজার ৬৪৮।