Inspection of Police Stations in Bhangar

ভাঙড়ে চার থানার পরিকাঠামো ঘুরে দেখলেন কলকাতার নগরপাল

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে ভাঙড় থানা ভেঙে ভাঙড় এবং চন্দনেশ্বর থানা তৈরি করা হচ্ছে। অন্য দিকে, কাশীপুর থানা ভেঙে তৈরি হচ্ছে উত্তর কাশীপুর ও পোলেরহাট থানা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড়  শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৫:৫৪
Share:

কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। —ফাইল চিত্র।

সব ঠিক থাকলে নতুন বছরের শুরুতেই কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ভাঙড় ও কাশীপুর থানা। তার আগে, রবিবার ওই দুই থানার পরিকাঠামো সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ভাঙড়ে এলেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত নগরপাল (২) শুভঙ্কর সিংহ সরকার, যুগ্ম নগরপাল (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার, উপ-নগরপাল আরিশ বিলাল ও সৈকত ঘোষ, বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি-সহ পদস্থ পুলিশকর্তারা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে ভাঙড় থানা ভেঙে ভাঙড় এবং চন্দনেশ্বর থানা তৈরি করা
হচ্ছে। অন্য দিকে, কাশীপুর থানা ভেঙে তৈরি হচ্ছে উত্তর কাশীপুর ও পোলেরহাট থানা। তবে এর মধ্যে শুধু ভাঙড় থানারই নিজস্ব ভবন রয়েছে। আপাতত চন্দনেশ্বর বাজারে একটি কমিউনিটি হল ভাড়া নিয়ে চলবে চন্দনেশ্বর থানার কাজ। কাশীপুর থানারও নিজস্ব বাড়ি না থাকায় পুরনো থানার পাশে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে তৈরি হচ্ছে উত্তর কাশীপুর থানা। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তর কাশীপুর থানার নিজস্ব ভবন তৈরির জন্য ২০ কাঠা জমি দান করেছেন। এ দিন নগরপাল সেই জমি পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া, পোলেরহাট কর্মতীর্থ ভবনে তৈরি হচ্ছে পোলেরহাট থানা। নলমুড়িতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে তৈরি হচ্ছে উপ নগরপালের অফিস। ঘটকপুকুরে সার্কল ইনস্পেক্টরের ভবনের পাশের বাড়িতে হচ্ছে ট্র্যাফিক গার্ডের অফিস।

এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রথমে নলমুড়িতে উপ-নগরপালের অফিস পরিদর্শন করেন বিনীত গোয়েল। সেখান থেকে ঘটকপুকুরে ট্র্যাফিক গার্ডের অফিস ঘুরে তিনি যান ভাঙড় থানায়। পুলিশকর্তাদের সঙ্গে সেখানে বৈঠক করেন তিনি। এর পরে নগরপাল খতিয়ে দেখেন উত্তর কাশীপুর থানা এবং পোলেরহাট থানার পরিকাঠামো।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে ভোট গণনার দিন পর্যন্ত দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। বোমা-গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় মোট সাত জনের। মনোনয়ন-পর্বের শেষ দিনে মৃত্যু হয় দুই তৃণমূল কর্মী এবং এক আইএসএফ কর্মীর। ভোটের আগের দিন প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে আইএসএফের মারে এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হন। পরে কলকাতার হাসপাতালে মারা যান তিনি। গণনার রাতে গণনা কেন্দ্রের বাইরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে জখম হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং তাঁর দেহরক্ষী। পাল্টা পুলিশ প্রতিরোধ গড়ে তুললে মৃত্যু হয় তিন আইএসএফ কর্মীর। ওই ঘটনার পরেই ভাঙড় ও কাশীপুর থানাকে কলকাতা পুলিশের অধীনে আনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক হয়, ভাঙড় থানা ভেঙে চারটি ও কাশীপুর থানা ভেঙে আরও চারটি থানা তৈরি করা হবে।

এ দিন নগরপাল বলেন, ‘‘আপাতত ডিসি-র অফিস, ট্র্যাফিক গার্ড এবং চারটি থানার পরিকাঠামো তৈরি সম্পূর্ণ। বাকি থানাগুলির পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে সেগুলিও পরবর্তী সময়ে চালু করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement