—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের গণনার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে পুলিশের উপর গুলি চালানোর পাশাপাশি গণনাকেন্দ্রে হামলার ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কাশীপুর থানার পুলিশ। ভাঙড়ের পানাপুকুর এলাকা থেকে আইএসএফ কর্মী বলে পরিচিত মইনুদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে শাসকদল তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে।
পুলিশের দাবি, পুলিশকর্মীরা যখন মইনুদ্দিনকে ধরতে যান, তাঁদের লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মইনুদ্দিনকে পাকড়াও করেছেন পুলিশকর্মীরা। তাঁর কাছে থেকে একটি বন্দুক এবং দু’রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। মইনুদ্দিনের ছাড়াও সমীর ঘোষ নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, এর আগে যত বার মইনুদ্দিনকে ধরতে এলাকায় পুলিশের গাড়ি গিয়েছে, এই সমীরই তাঁকে ফোন করে তা জানিয়ে দিতেন। ফোন পাওয়ার পরেই গা ঢাকা দিতেন মইনুদ্দিন ও তাঁর গোটা দল। এর জন্য প্রতি বার ২০০ টাকা করেও পেতেন সমীর। সম্প্রতি পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে, মইনুদ্দিন ও তাঁর দলবল পানাপুকুরে গা ঢাকা দিয়েছে। এই খবর পাওয়া মাত্রই অভিযান চালানো হয়। সেই সময়েই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পুলিশ মইনুদ্দিনকে তাড়া করে ধরে ফেললেও বাকি সঙ্গীরা এখনও অধরা। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় আইএসএফ নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য রাইনুর হক বলেন, ‘‘আইএসএফ নেতা-কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে পুলিশ এই কাজ করছে। এলাকায় আইএসএফের সমর্থন বাড়ছে বলেই এই চক্রান্ত।’’ পাল্টা তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, ‘‘সমাজ বিরোধীদের আটকাতে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিক।’’