বর্তমান পরিস্থিতিতে আড়ম্বর না করে চাঁদার টাকা কর্মহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য খরচ করা হবে
আলোর উৎসব দীপাবলিতেও এ বার ভাটা পড়তে চলেছে বারাসতে। এ রাজ্যে কালীপুজোর জন্য বিখ্যাত উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসত। জমজমাট ভিড়, আলোর রোশনাই, পরিচিত সেই দৃশ্য এ বার আর দেখা যাবে না সেখানে। করোনা পরিস্থিতিতে বড় বড় কালীপুজো কমিটি ও ক্লাবকে নিয়ে বারাসত পুরসভা বৈঠক করে। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছ, এ বার কালীপুজোয় বিশাল খরচ করবে না কোনও ক্লাব বা সংগঠন। থাকবে না পুরসভা বা প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিযোগিতাও।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বারাসত পুরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, “করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে উদ্যোক্তাদের অল্প ব্যয়ে পুজো করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সবাই রাজি হন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আড়ম্বর না করে চাঁদার টাকা কর্মহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য খরচ করা হবে।”
ভিড়ের কারণে সংক্রমণ এড়াতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানান সুনীলবাবু। তিনি বলেন, “ক্লাব ও সংগঠনগুলির কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলেছে। এই উদ্যোগে বারাসত পুরসভা পুজো কমিটিগুলোর পাশে থাকবে।”
দীপাবলির দিনগুলিতে গোটা রাস্তা আলোয় ভরিয়ে দেয় বারাসতের বিভিন্ন পুজো। তাদেরই একটির উদ্যোক্তা অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তায় আলো থাকবে না। ছোট করে পুজো করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করা হবে।” মাঠ জুড়ে পুজো, মেলা বসে বারাসত স্টেশন সংলগ্ন একটি ক্লাবের পুজোয়। ওই ক্লাবের সম্পাদক জয়দীপ দাস বলেন, “করোনার পরিস্থিতিতে ছোট করে পুজো করার সিদ্ধান্ত সমস্ত ক্লাব মিলেই নেওয়া হয়েছে।”