(বাঁ দিকে) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। (ডান দিকে) মজিদ মাস্টার।
ভোট শুরু হওয়ার আগে বারাসত থেকে সিপিএম নেতা মজিদ মাস্টারকে না সরালে নির্বাচনের দিন উত্তর ২৪ পরগনার প্রতিটি পুর এলাকায় ঘুরবেন বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবার রাতে বিধাননগরে বসে নির্বাচন কমিশনকে এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রীর অভিযোগ, নিয়ম মানছেন মজিদ। দেহরক্ষী থাকলে তিনি ভোটের দিন তাঁর ভোটকেন্দ্রের বাইরে যেতে পারেন না। অথচ শাসনের বাসিন্দা সিপিএম নেতা মজিদ মাস্টার দেহরক্ষী নিয়ে বারাসতের কাজিপাড়ায় রয়েছেন। তাই ভোট শুরুর আগে ওই নেতাকে বারাসত থেকে সরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। কিন্তু কোনও কাজ না হওয়ায় শুক্রবার তিনি ফের কমিশনে অভিযোগ জানান। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকেও জানানো হয়েছে বলে মন্ত্রীর দাবি।
মন্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার মজিদ বলেন, ‘‘আমি তো বারাসতেই থাকি। প্রাতর্ভ্রমণ করি। কখনও দোকানে কিছু কেনাকাটা করতে যাই। এটুকুও করতে পারব না?’’ তাঁর দাবি, কোনও দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরাও করেন না তিনি। মজিদের কথায়, ‘‘আমিই আমার দেহরক্ষী।’’ তবে সিপিএমের প্রবল প্রতাপের সময়েও শাসনের মতো মজিদের খাসতালুকেও ভোটের দিন কখনও তাঁকে বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি।
জ্যোতিপ্রিয় এ দিন বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। কিন্তু কমিশন কর্ণপাত করছে না। ওই নেতাকে ভোট শুরুর আগে বারাসত থেকে না সরালে আমিও দেহরক্ষী নিয়ে সারা জেলা ঘুরে বেড়াব। সেটা কি ভাল হবে?’’
তবে এখানেই মন্ত্রীর অভিযোগ থামেনি, তাঁর বক্তব্য সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি একযোগে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে। উদাহরণ হিসেবে তাঁর দাবি, শাসনের চার কুখ্যাত দুষ্কৃতী মহম্মদ সইদ, মহম্মদ বক্কর, মুন্নাফ আলি এবং মহম্মদ ইসরাইলকে দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, বারাসত এবং কামারহাটি পুরসভার বেলঘরিয়া অঞ্চলে ঢুকিয়েছে সিপিএম নেতা মজিদ মাস্টার। মন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই সব দুষ্কৃতী গোলমাল পাকিয়ে তৃণমূলের নাম জড়ানোর চেষ্টা করবে। নির্বাচন কমিশন থেকে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার— সকলকেই ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’