প্রতীকী ছবি।
ডাকযোগে ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিল জয়নগরের মোয়া।
সোমবার জয়নগর-মজিলপুর ডাকঘর মারফত প্রায় ২৫ কেজি মোয়া চেন্নাই ও মুম্বইয়ে পাঠানো হয়েছে। শীতের অন্যতম লোভনীয় খাবার এই মোয়া। কনকচূড় ধান আর নলেনগুড়ের মিশেলে তৈরি জয়নগরের মোয়ার খ্যাতি রয়েছে বাংলার বাইরে, এমনকী বিদেশেও। কিন্তু ব্যবসায়ীদের আক্ষেপ, রাজ্য বা দেশের বাইরে মোয়ার যা চাহিদা, সেই পরিমাণে রফতানি হয় না। ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু রফতানি করেন। মাঝে একটি সংস্থা মোয়া রফতানি শুরু করেছিল। কিন্তু সে ভাবে সফল হয়নি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকৃত একটি সংস্থা এগিয়ে এসে মোয়া রফতানিতে সাহায্যের হাত বাড়ায়। তাদের চেষ্টায় বাহরিনে রফতানি হয় জয়নগরের মোয়া।
এরপরেই মোয়া রফতানিতে উৎসাহী হয় ভারতীয় ডাক বিভাগ। সম্প্রতি ডাক বিভাগের তরফে চিঠি দেওয়া হয় জয়নগর মোয়া নির্মাণকারী সোসাইটিকে। সেখানে ডাক বিভাগের মাধ্যমে দেশের মধ্যে মোয়া সরবরাহ করার আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনে সারা দিয়েই এ দিন ডাক বিভাগের মাধ্যমে ২৫ কেজি মোয়া পাঠানো হল। জয়নগর-মজিলপুর ডাকঘর সূত্রের খবর, দিন তিনেকের মধ্যেই মোয়া গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। ডাক বিভাগের মাধ্যমে মোয়া সরবরাহ এই প্রথম বলেই জানান ব্যবসায়ীরা। এই ব্যবস্থা সফল হলে আগামী দিনে মোয়া রফতানির ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
মোয়া ব্যবসায়ীরা জানালেন, ডাকযোগে মোয়া পাঠানোর খরচ তাঁরা ক্রেতার কাছ থেকেই নিয়ে নিচ্ছেন। তাঁদের কাছে বরাত এলে ব্যবসায়ীরা ডাকযোগে মোয়া পাঠিয়ে দেবেন। চাইলে ক্রেতা সামান্য পরিমাণ বরাতও দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জয়নগর-মজিলপুর পোস্টাল সাব ডিভিশনের ইন্সপেক্টর ইনচার্জ তপোব্রত ঘোষ বলেন, “কলকাতা রিজিয়নের পোস্টমাস্টার জেনারেল নীরজকুমার প্রথম এ ব্যাপারে উদ্যোগ করেন। তিনি বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি জানান। বিভাগীয় প্রধান আমাকে জানালে, আমি মোয়া নির্মাণকারী সোসাইটির সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওঁরা বিষয়টিতে আগ্রহ দেখান।” আগামী দিনেও মোয়া রফতানিতে ডাকবিভাগ প্রস্তুত বলেই জানান তপোব্রত।