প্রতীকী ছবি।
চুরির মামলায় যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার কয়েক দিন পরেই লকআপে অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে পুলিশি হেফাজতে বন্দি মৃত্যুর ঘটনায় ‘ক্লোজ’ করা হল তদন্তকারী অফিসার অর্ণব চক্রবর্তীকে। এখন মামলার তদন্ত করবেন সাব-ইনস্পেক্টর সুশোভন সরকার।
বন্দিমৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বারুইপুরে প্রতিবাদ মিছিল করে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। সেই মিছিলে শামিল হন মৃতের পরিবারের লোকেরাও। বারুইপুর স্টেশন থেকে পুলিশ সুপারের দফতর পর্যন্ত সেই মিছিল হয়। মিছিলের পর বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। বন্দির মৃত্যুতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান এপিডিআরের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক আলতাফ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় যে সব পুলিশ অফিসার জড়িত, তাঁদের অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হোক। মৃতের পরিবারে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।।’’
পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসানের নেতৃত্বে সেই দলে রয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি (অ্যাডমিন) এবং ডিএসপি (ডিইবি)। মাকসুদ বলেন, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের দাবি মেনে ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়েছে।’’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়িয়ার বাসিন্দা সুরজিৎ সর্দার ওরফে সাহেবরে ১৩ এপ্রিল দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পর ২০ তারিখ থানা লকআপেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন সুরজিৎ। প্রথমে তাঁকে সোনারপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়৷ ২১ এপ্রিল শুক্রবার সেখানেই মৄত্যু হয় সাহেবের।