দিনের মধ্যে বহু সময় এই অবস্থা থাকে রাস্তার। ছবি: দিলীপ নস্কর।
রাস্তার দু’ধারে অটো-টোটোর সারি। বসতি বেড়েছে, দোকানপাটও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। সঙ্কীর্ণ পথ আরও সঙ্কীর্ণ হয়েছে। তাতে অবশ্য বিশেষ হেলদোল নেই কারও। প্রতি দিন যানজটে জেরবার হয় মগরাহাট রোড।
মগরাহাট স্টেশন থেকে এক দিকে রাস্তা চলে গিয়েছে কুলপি রোডের দক্ষিণ বারাসত ও বাংলার মোড়ের দিকে। অন্য প্রান্ত গিয়েছে উস্তির দিকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দু’দিকের প্রায় ২০-৩০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা বহু বছর আগে তৈরি হয়েছিল। তার পর থেকে আর রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ হয়নি। ব্লকের ১৪টি পঞ্চায়েতে প্রায় চার লক্ষ মানুষের বসবাস। নিত্য প্রয়োজনে তাঁদের মগরাহাটে আসতে হয়। সঙ্কীর্ণ রাস্তায় যানজটে সময় নষ্ট হয় বলে অভিযোগ।
মগরাহাটেই স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, রেল স্টেশন, সরকারি-বেসরকারি নানা দফতর। বড় বাজারও এখানেই। বৃহস্পতি ও রবিবার মগরাহাটে বড় হাট বসে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন কেনাকাটা করতে আসেন। তাতে যানজট আরও বাড়ে দক্ষিণ বারাসতের দিকে যাওয়া রাস্তায়। মগরাহাট থানার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মগরাহাট স্টেশন। এই পথটুকুতে গাড়ি চলাচলের জায়গা থাকে না বললেই চলে অটো ও টোটোর ভিড়ে। কলস বাজার পর্যন্ত মোড়গুলিতে যানজট হয় বেশি।
পথচারীদের অভিযোগ, রাস্তা ২৫-৩০ ফুট চওড়া। তার মধ্যে দু’ধার দখল করে গজিয়ে উঠেছে রকমারি দোকান। দোকানের সামনে আবার ডালা পেতে ফল, আনাজ বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। তার সামনেই থাকে ভ্যান, অটো, টোটোর লম্বা লাইন। বড় লরি বা ট্রাক ঢুকে গেলে আর রেহাই থাকে না। গাড়ি, বাইকের লম্বা লাইন পড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে আটকে পড়তে হয় অ্যাম্বুল্যান্সকেও।
এলাকার বাসিন্দা, ট্রেনের নিত্যযাত্রী কালাম গাজি, মেহেদি হাসান ফকির বলেন, ‘‘মগরাহাট স্টেশনে ট্রেন ঢুকলে আর রেহাই নেই। যানবাহনের লম্বা লাইনে আটকে পড়তে হয়। অনেক সময়ে ট্রেন ধরাই যায় না। কোনও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পথে আটকে পড়তেই হয়।’’
মগরাহাট ২ বিডিও তুহিনশুভ্র মোহান্তি বলেন, ‘‘যানজটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’