জেটিঘাট: এখান থেকেই পারাপার। নিজস্ব চিত্র
রয়েছে তিনটি। কিন্তু ব্যবহার হয় মাত্র একটিই।
মণি নদীর রায়দিঘি ঘাটে ওঠার জন্য তিনটি জেটিঘাটেরই অবস্থা খারাপ। তার মধ্যে দু’টি কোনও ভাবেই ব্যবহার করা যায় না। ফলে একটি জেটিঘাট দিয়েই চলে যাতায়াত। যে কোনও সময়ে ওই জেটিঘাটও ভেঙে পড়তে পারে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
রায়দিঘির মথুরাপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পুতুল গায়েন বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই ওই ঘাট দু’টি সংস্কার করা হবে।’’
বহু বছর আগে রায়দিঘি ও পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন দ্বীপ এলাকায় মানুষ নদীপথেই যাতায়াত করতেন। সে সময়ে রায়দিঘি-কঙ্কনদিঘি খেয়া পারাপারের জন্য তিনটি কংক্রিটের জেটি নির্মাণ করা হয়েছিল। অভিযোগ, তারপর থেকে সেগুলি আর সংস্কার করা হয়নি। এমনিই ওই জেটিগুলির অবস্থা ভাল নয়। তার মধ্যে আবার নদীতে চর পড়ে যাওয়ায় দু’টি জেটি মাটির নীচে চলে গিয়েছে। ফলে ভুটভুটি, ট্রলার, নৌকো সব একটি জেটির উপরেই নির্ভর করে রয়েছে। মালপত্র ওঠানামা থেকে শুরু করে যাত্রী পারাপার সব ওই জেটি দিয়েই হচ্ছে।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, এই জেটিরও স্ল্যাবগুলিতে ফাটল ধরেছে। নীচের বিমগুলির চাঙড় খসে পড়ছে। তারপর সারা দিন এই জেটির উপর দিয়ে যাতায়াত চলে। ফলে চাপও কম পড়ে না। বিপদের আশঙ্কা মাথায় নিয়েই যাতায়াত করতে হয়। তা ছাড়া, ওই ঘাটের পাশের নলকূপটি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। আলোর ভাল ব্যবস্থা নেই। একটি মাত্র শৌচাগার। তা-ও ব্যবহারে অযোগ্য।