জখম: ক্যানিংয়ে। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুখালি এলাকায়। শুক্রবার দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজিও হয়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার মধুখালিতে দিদিকে বলো কর্মসূচি পালন করে যুব তৃণমূল। সেই কর্মসূচিতে যে সমস্ত যুব তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে কয়েক জন শনিবার- শুক্রবার বিকেলে গোলাবাড়ি বাজারে এলে এলাকার তৃণমূল নেতা তথা অঞ্চল সভাপতি খতিব সর্দারের লোকজন তাঁদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় জনা চারেক যুব তৃণমূল কর্মী আহত হন। ইটখোলা পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইন্দ্রজিৎ সর্দার বলেন, “পরিকল্পিত ভাবেই আমাদের কর্মীর উপরে হামলা চালিয়েছে খতিবের লোকজন। এলাকায় যুব তৃণমূল করার কারণেই এই হামলা চালানো হয়েছে আমাদের কর্মীদের উপরে।’’
ইন্দ্রজিতের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খতিব। তিনি বলেন, “আমাদের কর্মীদের উপরেই পরিকল্পিত ভাবে ইন্দ্রজিতের লোক জন হামলা চালিয়েছে।’’ এ বিষয়ে এলাকার বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়দের দাবি, শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় বোমাবাজি করে দু’পক্ষ। ঘটনার জেরে যথেষ্ট আতঙ্কিত এলাকার সাধারণ মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, “প্রায় বছরখানেক ধরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে এলাকায় অশান্তি লেগে রয়েছে। মাঝেমধ্যেই বোমা-গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। আমরা আতঙ্কিত।’’
ঘটনার পরে ক্যানিং থানার আইসি অমিত হাতির নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দু’পক্ষের চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ
পিকেট বসেছে।