ভুলে ভরা ‘সংশোধিত’ ভোটার কার্ড
Voter card

কাঠখড় পুড়িয়েও উধোর পিন্ডি সেই বুধোর ঘাড়েই

অভিযোগ, প্রতিবারই সমস্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে ভোটার কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু কোনও না কোনও ভুল থেকেই যাচ্ছে।

Advertisement

সামসুল হুদা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভোটারদের ইলেক্টরস ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম (ইভিপি) বা নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচি সম্প্রতি শেষ হয়েছে। সমস্ত তথ্য যাচাইয়ের পরে সেই মতো সংশোধিত ভোটার কার্ড আসতে শুরু করেছে। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, যে নতুন ভোটার স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে, তা ভুলে ভরা। কোথাও স্বামীর নামের সঙ্গে বসেছে স্ত্রীর ছবি। কারও আবার মায়ের কার্ডে মেয়ের ছবি। কারও কার্ডে বাবার নাম ঠিক থাকলেও ছেলের নাম ভুল।

Advertisement

এ সব নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিবারই সমস্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে ভোটার কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু কোনও না কোনও ভুল থেকেই যাচ্ছে।

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভোটার নিজের এবং পরিবারের ভোটার তালিকায় নাম যাচাই করে নিতে পারছেন। সচিত্র পরিচয়পত্রে সমস্ত তথ্য ঠিক আছে কিনা— তাও অনলাইনে যাচাই করা যাচ্ছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটার সার্ভিস পোর্টাল বা ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ চালু করা হয়েছে। সেই মতো ভোটাররা অনলাইনের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য দিয়ে ভোটার তালিকা ও সচিত্র পরিচয় পত্রের ভুলক্রটি সংশোধন করে আবেদন করেন। নিজেদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা কম্পিউটার না থাকায় সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে অনেকে এই কাজ করান। এ জন্য দরকার নিজস্ব ইমেল আইডি। কিন্তু অনেকে সে সবের ব্যবহার জানেন না। সাইবার ক্যাফেতে ৪০০-৫০০ টাকা খরচ করে ভোটার তালিকা ও সচিত্র পরিচয় পত্রের ভুলত্রুটি সংশোধনের আবেদন করেছিলেন তাঁরা। এত কিছুর পরেও সংশোধিত ভোটার স্মার্ট কার্ডে ভুল থাকায় হতাশ তাঁরা।

Advertisement

ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, কার্ডের ভুল-ত্রুটি সংশোধনের জন্য অনেকেই সে সময়ে অনলাইনে তথ্য আপলোড করতে গিয়ে ভুল করে ফেলেছেন। যে কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া, সফটওয়্যারের কোনও সমস্যা থাকতে পারে। যে কারণে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শওকত মোল্লা, রিজিয়া বেগম বলেন, ‘‘যতবারই ভোটার কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করেছি, ততবারই কোনও না কোনও ভুল বের হয়েছে। এ বার তো একজনের কার্ডে অন্যের নাম, ছবি এবং সম্পূর্ণ ঠিকানা ভুল এসেছে। নির্ভুল ভোটার কার্ড তৈরি করতে গিয়ে বারবার হয়রান হতে হচ্ছে।’’

এ বিষয়ে ভাঙড় ২ বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘বেশ কিছু ভুলত্রুটি আমার নজরে এসেছে। যাঁদের কার্ডে ভুল আছে, তাঁরা ফের ৮ নম্বর ফর্ম পূরণ করে আমাদের কাছে জমা দিতে পারেন অথবা অনলাইনেও আবেদন করতে পারেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement