Coronavirus

পর্যটকশূন্য বকখালিতে ক্ষতি ব্যবসায়ীদের, সমস্যায় কর্মীরাও

নামখানা থেকে বকখালি পর্যন্ত বাস বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন  বাসের শ্রমিকেরাও।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

বকখালি শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২০ ০১:২৭
Share:

শূন্য বকখালি। নিজস্ব চিত্র

কিছু দিন আগে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে তছনছ হয়ে গিয়েছিল বকখালি পর্যটক কেন্দ্র। প্রায় মাসখানেক বন্ধ ছিল সমস্ত হোটেল। তার জের কাটতে না কাটতেই টানা লকডাউনের জেরে ফের ক্ষতির মুখে পড়েছেন বকখালির হোটেল ব্যবসায়ী ও দোকানিরা। কাজ হারিয়েছেন প্রায় কয়েকশো হোটেল কর্মী। তার মধ্যেই এসে পড়ল আমপান।

Advertisement

বকখালিতে প্রায় ৭০টি হোটেল রয়েছে। স্থানীয় এবং বহিরাগত মিলিয়ে কয়েকশো কর্মী এই হোটেলগুলিতে কাজ করেন। এ ছাড়া, খাবার হোটেল, অন্যান্য না সরঞ্জামের দোকান রয়েছে কয়েকশো। এগুলির সঙ্গেও বহু মানুষের জীবিকা জড়িয়ে। লকডাউনের জেরে প্রায় দু’মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সব কিছু। এর জেরে রোজগার বন্ধ পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষের। পর্যটকদের এলাকায় ঘোরানোর জন্য রয়েছে টোটো। পর্যটক না যাওয়ায় কাজ হারিয়েছেন টোটো চালকেরাও।

নামখানা থেকে বকখালি পর্যন্ত বাস বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন বাসের শ্রমিকেরাও।

Advertisement

বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোটি কোটি টাকা খরচ করে অনেকে হোটেল ব্যবসায় নেমেছেন। কিন্তু প্রথমে বুলবুল, এখন টানা লকডাউনের জেরে সকলেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকে ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে হোটেল বানিয়েছেন। ফলে প্রতি মাসে ব্যাঙ্কের কিস্তির টাকা জমা দিতে পারছেন না। এখন বকখালির সমুদ্র সৈকত মরুভুমির চেহারা নিয়েছে।’’ নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ পাত্র বলেন, ‘‘এই এলাকায় পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় বহু মানুষ নানা ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন অনেকে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement