মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার কলোস মেলা মাঠে যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করে কংগ্রেস। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মগরাহাটে শাসকদলে ধাক্কা। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন শতাধিক নেতাকর্মি। মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর হাত থেকে হাত আঁকা পতাকা তুলে নেন মগরাহাটের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ শতাধিক তৃণমূল কর্মী। যদিও তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, এতে কোনও প্রভাব পড়বে না দলের উপর।
মঙ্গলবার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার কলোস মেলা মাঠে যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করে কংগ্রেস। সেখানে রাজ্য এবং কেন্দ্রে শাসকদলকে এক পংক্তিতে ফেলে আক্রমণ করেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের এক হওয়ার ডাক দিয়েছেন। কিন্তু নিজেই কংগ্রেসের ভোট কাটতে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেসের ক্ষতি করেছেন।’’ তিনি এ-ও অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাকে সমস্ত বিরোধী সমর্থন করছেন। কিন্তু মমতা তা সমর্থন করেননি। তাঁর খোঁচা, ‘‘তৃণমূলের মহিলা সংগঠন ৩২ ঘণ্টার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্নার ডাক দিয়েছে। তাঁরা রাজ্যের পঞ্চায়েতেরও একাধিক দুর্নীতি নিয়েও ধর্না দিতে পারেন।’’ আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে কেবলই গন্ডগোল হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। আর তৃণমূলের নেতা এবং কর্মীদের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত শুধুমাত্র যোগদান কর্মসূচি করে যেতে হবে আমাদের।’’
তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেতাদের অভিযোগ, শাসকদলের একাংশ দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছেন। এ কারণেই তাঁরা দলত্যাগ করেছেন।