হাবড়ায় যশোর রোডে এসইউসি-র বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এসইউসি শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। তাদের ছাত্র সংগঠন ডিএসও-র ডাকে ছাত্র ধর্মঘট ডাকা হয়। দুই ২৪ পরগনায় অবশ্য তেমন প্রভাব চোখে পড়েনি। সকালে ডিএসও সমর্থকেরা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সোদপুর ও বেলঘরিয়ার দু’একটি স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি বনগাঁয়। যানবাহন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। দোকানপাট খোলা ছিল। হাবড়ায় বন্ধ সমর্থকেরা যশোর রোডে শুক্রবার একাধিক মিছিল করেন। নগরউখড়া মোড় এবং স্টেশন মোড় এলাকায় যশোর রোড অবরোধ করা হয়ে। সকালে গাইঘাটা বাজারে বন্ধ সমর্থকেরা মিছিল করেন। আংশিক প্রভাব পড়েছে বসিরহাটে। দোকানপাট খোলা থাকলেও অন্য দিনের তুলনায় ক্রেতা-বিক্রেতা কম ছিল। অটো ও বাস স্ট্যান্ডে যাত্রী-সংখ্যা কম ছিল।
বসিরহাট শহরে এসইউসি মিছিল করে। মিনাখাঁর মালঞ্চ ও বামনপুকুর বাজারে কিছু দোকান বন্ধ ছিল। ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা ছিল কম। হাড়োয়া, বাদুড়িয়া, স্বরূপনগরেও একই চিত্র দেখা যায়। বন্ধের তেমন প্রভাব পড়েনি ক্যানিংয়ে। তবে সকালে ক্যানিংয়ে মিছিল বেরোয়। হেড়োভাঙা এলাকায় রাস্তা অবরোধ হয়। গোসাবা বাজার এলাকায় মিছিল করেন এসইউসি কর্মীরা। সেখানে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রমেশ মাইতির বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রমেশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। এসইউসি’র ডাকা বন্ধে সাড়া মেলেনি ডায়মন্ড হারবারে। সকালের দিকে রায়দিঘিতে কিছু দোকান বন্ধ থাকলেও বেলা গড়াতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। জয়নগর, দক্ষিণ বারাসাত, বহড়ু, কুলতলিতে পথ অবরোধ করে এসইউসি। মিছিল বেরোয়। দক্ষিণ বারাসতে অবরোধ তুলতে গেলে জয়নগর থানার পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় এসইউসি কর্মীদের। জয়নগর স্টেশনের কাছে ওভারহেডে কলাপাতা ফেলে দেওয়ায় লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় ভোরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। এসইউসি দাবি, দুই জেলায় বন্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিললেও সাধারণ মানুষ তাঁদের প্রতিবাদকে সমর্থন করেছেন।