বাজেয়াপ্ত: হাড়োয়ার গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে এই সব অস্ত্র। ছবি: নির্মল বসু
অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে দুই ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে পুলিশি অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলি-বন্দুক। ধরপাকড়ও হয়েছে।
রাতে হাড়োয়ার একটি গ্রাম থেকে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম সাহাবুদ্দিন বৈদ্য ও রেজাউল মোল্লা ওরফে ঝন্টু। তাদের কাছ থেকে একটি কার্বাইন, দু’টি বন্দুক, চারটি ওয়ানশটার ও ১৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৮টা নাগাদ হাড়োয়ার শালিপুর পঞ্চায়েতের কলুপুকুর এলাকায় তল্লাশি চলছিল। সে সময়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানা এলাকার দিক থেকে একটি বাইকে দু’জনকে আসতে দেখা যায়। বাইক চালাচ্ছিল রেজাউল। পিছনে বসা সাহাবুদ্দিনের কাছে ছিল একটা বড় বস্তা। বস্তায় কী আছে জানতে চায় পুলিশ। দুষ্কৃতীরা জানায়, খড় আছে। গরুর খাবারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সন্দেহ হওয়ায় বস্তা খুলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তখনই খড়ের ভিতর থেকে গুলি-বন্দুক বেরিয়ে পড়ে। পুলিশের অনুমান, মেছোভেড়ি এলাকায় অশান্তি পাকাতেই বাইরে থেকে অস্ত্র আমদানি করা হচ্ছিল। ধৃত দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি, ছিনতাই-সহ আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্য এলাকা থেকে গুলি-বন্দুক নিয়ে এসে তা হাড়োয়া, মিনাখাঁ-সহ কাশীপুর এলাকায় বিক্রির সঙ্গেও তারা জড়িত ছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। কোথা থেকে তারা কার্বাইনের মতো অস্ত্র সংগ্রহ করল, তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশের দাবি, এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, ন্যাজাট এবং হাড়োয়া থানা এলাকা থেকে ৪৫ রাউন্ড গুলি, ২৭টি বন্দুক এবং একটি কার্বাইন উদ্ধার হল।
বৃহস্পতিবার রাতেই বাগদার মেহেরানি সেতু এলাকা থেকে এক দুষ্কৃতীকে ধরেছে পুলিশ। ধৃতের নাম তুহিন বিশ্বাস। বাড়ি গোপালনগর থানার অম্বিকাপুর এলাকার চিত্তরঙ্গপুর গ্রামে। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে একটি দেশি ওয়ানশটার ও এক রাউন্ড থ্রি নট থ্রি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।