সুন্দরবন পুলিশ জেলা হওয়ার পর থেকে বেআইনি মদ উদ্ধারে জোর দিয়েছে পুলিশ। এবং সাফল্যও মিলছে। কয়েক হাজার লিটার মদ উদ্ধার হয়েছে ইতিমধ্যে। মূলত সাগর, মন্দিরবাজার এবং রায়দিঘি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়েই বেশি বেশি বেআইনি মদের কারবার চোখে পড়েছে পুলিশ কর্তাদের।
পুলিশ জেলা তৈরির আগে বিচ্ছিন্ন ভাবে এই অভিযান যে চালানো হতো না, তা নয়। কিন্তু সাফল্যের হার ছিল বেশ কম। ১০ মার্চ থেকে সুন্দরবন পুলিশ জেলা আত্মপ্রকাশ করে ১৩টি থানা নিয়ে। জেলার মাথায় আসেন নতুন পুলিশ সুপার তথাগত বসু। তখন থেকেই বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয় থানাগুলিকে। বারুইপুর বিষমদ কাণ্ডে ১১ জন মারা যাওয়ার পরে অভিযানে আরও গতি আনার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। তাঁর কথায়, ‘‘আমি আসার পরে বার বার থানার ওসিদের সঙ্গে বৈঠকে জোর দিয়েছিলাম বেআইনি মদ উদ্ধারের উপরে।’’ হাজার লিটারেরও বেশি মদ ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে। বেশ কয়েকজন বেআইনি মদের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করেছে পুলিশ।
কী ভাবে ব্যবসা চলছে বেআইনি মদের? জানা গিয়েছে, বড় আকারে চোলাইয়ের কারবার এখন অনেক জায়গাতেই বন্ধ হয়েছে। কিন্তু তার বদলে শুরু হয়েছে বাংলা মদ এবং ইংরেজি মদের চোরা কারবার। লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান থেকে কিনে প্রত্যন্ত গ্রামে নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে বেশি দামে। ফলে মদ জাল হওয়া এবং তাতে বিষক্রিয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিছু এলাকায় বোতল খুলে তার মধ্যে আরও কড়া নেশার উপাদান মেশানোর ঘটনাও নজরে এসেছে পুলিশের। তা নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে।