প্রয়োজনে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন গৌতম দেব

সল্টলেক পুরভোটের আগে বলেছিলেন, দলে দলে তাঁর ছেলেরা গিয়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস রুখে দেবে। বাইক বাহিনী দেখলে তুলে খালের জলে ফেলে দেবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৪৮
Share:

সল্টলেক পুরভোটের আগে বলেছিলেন, দলে দলে তাঁর ছেলেরা গিয়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস রুখে দেবে। বাইক বাহিনী দেখলে তুলে খালের জলে ফেলে দেবে।

Advertisement

সে দিন তাঁর হুঙ্কার শুনে অনেকেই আশা করেছিলেন, বামেরা বুঝি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। অবশ্য পর্বত ফুঁড়ে মুষিকই প্রসব হয়েছিল। শাসক দলের নজিরবিহীন দাপাদাপির সাক্ষী থেকেছে পুরভোটের সল্টলেক। বাম কর্মী-সমর্থকেরা তো বটেই, আক্রান্ত হন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। তৃণমূলের একাধিক নেতাকে দাঁড়িয়ে থেকে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সে দিন। সিপিএম কোন ঘরে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছিল, তা মালুম পাওয়া যায়নি।

সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সেই গৌতম দেবই এ বার দলের কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে বলে বসলেন, ‘‘যদি দেখেন ওরা (তৃণমূল) দুষ্কৃতীদের নিয়ে আসছে, তা হলে লাঠিসোঁটা নিয়ে তৈরি থাকুন। প্রয়োজনে প্রতিহত করবেন।’’ মঙ্গলবার বসিরহাটে টাউনহল চত্বরে জোট প্রার্থী অমিত মজুমদারের সমর্থনে সভায় এসে এ হেন গরম গরম ভাষণ দিয়ে গিয়েছেন বর্ষীয়ান এই সিপিএম নেতা। এ দিন বসিরহাটে সভা করেছেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও।

Advertisement

গৌতমবাবুর দাবি, দু’দফা ভোটে তাঁদের লোকজনের জন্যই নাকি গণ্ডগোল করতে পারেনি তৃণমূল। তবে ফাঁক গলে কত জল ঢুকেছে ইভিএমে, তা নিয়েই এখন জল্পনা চলছে রাজ্য জুড়ে। আগামী দফার ভোটে ভূতের নেত্য কেমন থাকে বুথে, তা নিয়ে চিন্তিত নির্বাচন কমিশনও।

সিপিএম নেতাকে মার। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার ‘অপরাধে’ এক সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার উলুবেড়িয়ার ঘটনা। এ দিন দুপুরে প্রহৃত উৎপল সরকার উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের জোট প্রার্থী সিপিএমের সাবিরুদ্দিন মোল্লার প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। হাটকালীগঞ্জের কাছে দলীয় কর্মীদের নিয়ে কয়েকটি পতাকা টাঙাচ্ছিলেন। অভিযোগ, স্কুল গেটের কাছে এলে পাশে থাকা তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস থেকে জনা কুড়ি তাদের কর্মী-সমর্থক তাঁকে ধরে মারধর করেন। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement