প্রতীকী ছবি
আমার মতো পরিবারের মানুষ জানেন, করোনা কী ভাবে গোটা পরিবারের ক্ষতি করতে পারে।
ভাঙড়ের নলমুড়ি ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালের পাবলিক হেলথ নার্স ছিলেন আমার মা। জুন মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি করোনা আক্রান্ত হন। ২৮ জুন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মায়ের মৃত্যু হয়। মা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই আমাদের পরিবারের উপর দিয়ে প্রবল মানসিক চাপ গিয়েছে। তবে অন্য অনেকে জায়গায় যেমন করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে অসহযোগিতা করেছেন এলাকার মানুষ, আমাদের এখানে তা হয়নি। বরং আমরা সকলের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। কিন্ত মাকে তো ধরে রাখতে পারিনি।
সকলেই জানি, করোনা সংক্রমণ কী ভাবে বাড়ছে। তবুও বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন অনেকে। অনেকে তো আবার মাস্ক ছাড়াই ঘোরাঘুরি করছেন। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলিতে শয্যা নেই। অনেক স্বাস্থ্যকর্মী ফ্রন্টলাইনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। ঠাকুর দেখতে গিয়ে যদি সংক্রমণ রেকর্ড গতিতে বেড়ে যায়, তা হলে সেই পরিস্থিতি কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে? করোনা আক্রান্ত হয়ে আমার মায়ের মতোই মৃত্যু হয়েছে আরও অনেক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের। বিপদ আছে জেনেও তাঁরা এই কাজ করে চলেছেন পেশার তাগিদে। এরপরে যদি সব কিছু হাতের বাইরে চলে যায়, তা হলে ভীষণ বিপদ। এই বিপদ থেকে নিজেদের বাঁচাতে উচ্চ আদালতের রায় সকলকে মেনে চলতেই হবে। বেঁচে থাকলে আরও অনেক পুজোয় ঠাকুর দেখতে পারব।