মারধরের পর কাটারির কোপ বসানোর অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীর পরকীয়া! এই সন্দেহে তাঁকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কালের আইট গ্রামের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম আমিনা বিবি (২৬)। খুনের অভিযোগে জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হাফিজুল মোল্লা নামে যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, কিছু দিন আগে বিয়ে হয়েছিল হাফিজুল ও আমিনার। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁদের ঝামেলা লেগে থাকত। অশান্তি ছিল রোজনামচা। হাফিজুল সন্দেহ করতেন, অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর।
স্থানীয়দের দাবি, স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে, এই সন্দেহে তাঁকে মারধর করতেন হাফিজুল। সম্প্রতি নাকি স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রমাণ পেয়ে তাঁকে খুব মারধর করেন স্বামী। আগেও এক বার এই অশান্তির জেরে স্ত্রীকে তাঁর বাপের বাড়িতে রেখে আসেন হাফিজুল। তবে কিছু দিন পরই দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় আমিনা আবার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন।
আমিনার পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার ঘুম থেকে ওঠার পরই স্বামী-স্ত্রীর আবার বচসা শুরু হয়। পরে চা তীব্র আকার নেয়। ঝগড়া করতে করতে বাড়িতে পড়ে থাকা কাটারি নিয়ে আমিনার মাথায় পর পর কোপ বসান হাফিজুল। অকুস্থলেই মৃত্যু হয় আমিনার।
চিৎকার-চেঁচামেচিতে বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন স্থানীয়রা। তাঁরাই রক্তাক্ত আমিনাকে নিয়ে নলমুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসকেরা জানান, অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পুলিশ এসে দেহ পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার মিস পুষ্পা বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ শুক্রবারই ধৃত হাফিজুলকে তোলা হয় বারুইপুর মহকুমা আদালতে। বিচারক তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।