বিজেপির পার্টি অফিসে ধুন্ধুমার। — ছবি: সংগৃহীত।
যাদবপুরে জয় এ বারও অধরাই থেকে গিয়েছে বিজেপির। তৃণমূলের কাছে হার হয়েছে আড়াই লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে। কিন্তু হেরেও নিস্তার নেই! প্রচারের কাজে বরাদ্দ করা অর্থ তছরুপের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাধল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে বিজেপি পার্টি অফিসে। চলল চেয়ার ছোড়াছুড়ি, ধস্তাধস্তি।
যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার বারুইপুরে তিন তলা পার্টি অফিস বিজেপির। ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে সেই পার্টি অফিসেই পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের সামনেই ধুন্ধুমার বাধল। সূত্রের খবর, প্রচারে বরাদ্দ করা টাকার হিসাব করার জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বরাদ্দ টাকা তছরুপের অভিযোগকে কেন্দ্র করে। একে অপরের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। দেদার চেয়ার ছোড়াছুড়িও হয় বলে দাবি। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য পরে মুখ খুলতে চাননি কেউ। দলীয় নেতৃত্বের একাংশও প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। যদিও ওই বৈঠকের বলে দাবি করে একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যেখানে চেয়ার ছোড়াছুড়ি এবং ধস্তাধস্তির ছবি দেখা যাচ্ছে। কোনও ভিডিয়োরই সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোরঞ্জন জোয়ারদার অবশ্য দলীয় কোন্দলের অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সভায় ফেন্সিং তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল এক জনকে। যাঁকে বরাত দেওয়া হয়েছিল এবং যিনি দিয়েছিলেন এই দু’পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল। তা নিয়েই কিছুটা অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এর মধ্যে দলীয় কোন্দলের কোনও ব্যাপার নেই। দু’পক্ষই দলের লোক। দলীয় ভাবে বসে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হয়েছে।’’
বারুইপুরের তৃণমুল নেতা গৌতম দাস বলেন, ‘‘বিজেপি মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন একটা পার্টি৷ বিশৃঙ্খলতা তৈরি করাই কাজ ৷ তাই রাজ্যের মানুষ এদের প্রত্যাখ্যান করেছেন৷’’