Gang Rape

Gang Rape: পিকনিক থেকে ফেরার পথে বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ, ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

নববর্ষের রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানার আমতলা বাজার এলাকায়, মেছোভেড়ির একটি আলাঘরে। শনিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় ছ’জনকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মিনাখাঁ শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২২ ০১:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

পিকনিকে গিয়ে গোলমাল বেধেছিল দু’পক্ষে। বাড়ি ফেরার পথে পিকনিক দলের এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল অন্য পক্ষের কিছু যুবকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নববর্ষের রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানার আমতলা বাজার এলাকায়, মেছোভেড়ির একটি আলাঘরে। অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় ছ’জনকে। মিনাখাঁর এসডিপিও নির্মল দাস বলেন, ‘‘ধর্ষণ, মারধর এবং ভাঙচুরের অভিযোগে মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রামের বাসিন্দা সালাম সর্দার, হাবিবুল্লা মোল্লা, সরিফুল গাজি, সুরজিৎ মণ্ডল ওরফে দীপঙ্কর, মাড়িবেড়িয়ার রাকিবুল ইসলাম মল্লিক এবং কাদিরহাটি গ্রামের বাসিন্দা বাকিবিল্লা তরফদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহিলার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ ধৃত ছ’জনকে রবিবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১২ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ঘটকপুকুর এলাকা থেকে ৩০-৩৫ জনের একটি দল টাকিতে পিকনিক করতে গিয়েছিল। তাদের সঙ্গে বছর তিরিশের ওই মহিলাও ছিলেন। মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম থেকে এক দল যুবক পিকনিক করতে গিয়েছিল। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। হাতাহাতি শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় তখনকার মতো গোলমাল মিটে গিয়েছিল। অভিযোগ, ফেরার পথে দু’পক্ষের গাড়ি চালকদের মধ্যে আর এক দফা গোলমাল বাধে। কুমারজোল থেকে যাওয়া একটি গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়।

Advertisement

কুমারজোলের যুবকেরা মিনাখাঁ থানার কাছে, কিসান মান্ডি র সামনে কলকাতা-বাসন্তী হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে ছিল। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ভাঙড়ের পিকনিক দলের গাড়ি আসতে দেখে তারা সেটি দাঁড় করায়। রড, বাঁশ নিয়ে চড়াও হয়ে গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। গাড়ির যাত্রীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।

ভয় পেয়ে ভাঙড়ের পিকনিক দলের লোকজন পালায়। ওই মহিলা এবং এক যুবক গাড়ি থেকে নামতে পারেননি। অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত যুবকেরা ওই গাড়িতেই দু’জনকে তুলে নিয়ে আমতলা বাজারের দিকে চলে যায়। সেখানে ওই যুবককে মারধর করে নামিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে মহিলা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে মেছোভেড়ির একটি আলাঘরে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সেখানে ধর্ষণ করা হয়। তাঁর কথায়, ‘‘জনা দুয়েক লোক আমার উপরে চড়াও হয়েছিল। বাকিরা দাঁড়িয়ে থেকে ওদের প্ররোচিত করছিল। কিছুক্ষণ পরে আমি জ্ঞান হারাই। সামান্য একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ভাবে আমার উপরে অত্যাচার হবে, ভাবতেও পারছি না।’’

অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে মহিলা নিজেই থানায় এসে অভিযোগ করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তে নেমে শনিবার রাতেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement