দক্ষিণ ২৪ পরগণার মন্দির বাজার থানা এলাকার দয়রামপুরের ঘটনা। প্রতীকী ছবি।
বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ভেসে উঠল বধূর মৃতদেহ। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দির বাজার থানা এলাকার দয়রামপুরের ঘটনা। মৃত বধূর নাম মিঠু বৈদ্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিঠুর স্বামী কার্তিক বৈদ্য কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। এক সপ্তাহ আগে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। রবিবার বিকেলে আবার তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। অন্য দিকে, রবিবার বিকেল থেকেই নিখোঁজ হন মিঠুও। গৃহবধূর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। সোমবার দুপুরে এলাকার বাসিন্দারা মিঠুর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুরে তাঁর মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় মন্দিরবাজার থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত বধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর দেহ পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে।
প্রতিবেশী আঙুর হালদার বলেন, ‘‘আমি এবং আমার কাজের মেয়ে ঘাটে বাসন মাজছিলাম তখন মৃতদেহটি ভেসে ওঠে। আমরা ওদের বাড়িতে খবর দিই। আগের সপ্তাহেই ওর স্বামী বাড়ি এসেছিল। কিন্তু কখনও কোনও গোলমাল খেয়াল করিনি।’’
বধূর মৃত্যু ঘিরে ক্রমেই দানা বাঁধছে রহস্য। কেউ মিঠুকে খুন করেছেন কি না, বা কী ভাবে তাঁর মৃতদেহ ওই পুকুরে এল, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। মিঠু যদি খুন হয়ে থাকেন, তা হলে কে বা কারা এর নেপথ্যে রয়েছে এবং কী কারণে এই খুন, তা নিয়েও বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। মন্দিরবাজার থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।
এই প্রসঙ্গে মল্লিকবাজার থানার এসডিপিও বিশ্বজিৎ নস্কর বলেন, ‘‘পুকুর থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিবারের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ করা হয়নি। তবে পুলিশের তরফে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। মঙ্গলবার মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।’’