High Tide in Gangasagar

গঙ্গাসাগরে উত্তাল সমুদ্র, উল্টে গেল মাছভর্তি দু’টি নৌকা, ভাঙনের আশঙ্কা কপিলমুনির আশ্রম চত্বরে

জলোচ্ছ্বাসের জেরে কপিলমুনির আশ্রম চত্বরে বেশ কয়েকটি রাস্তায় ফাটল দেখা গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে স্নানের ঘাট। ভাঙন বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন সমুদ্র তীরবর্তী অস্থায়ী দোকানের মালিকেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

গঙ্গাসাগর শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৪ ১২:৩৭
Share:

গঙ্গাসাগরে জলোচ্ছ্বাস। —নিজস্ব চিত্র

পূর্ণিমার ভরা কোটালে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। সোমবার ভোরে গঙ্গাসাগরে উল্টে গেল মাছভর্তি দু’টি নৌকা। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন মৎস্যজীবীরা। বর্তমানে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য দিকে, জলোচ্ছ্বাসের জেরে কপিলমুনির আশ্রম চত্বরে বেশ কয়েকটি রাস্তায় ফাটল দেখা গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে স্নানের ঘাটে যাওয়ার রাস্তাও। ভাঙন বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন সমুদ্র তীরবর্তী অস্থায়ী দোকানের মালিকেরা। প্রশাসনের তরফে এলাকায় লাগাতার মাইকিং করে স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে। উত্তাল সমুদ্রে নামতেও নিষেধ করা হচ্ছে সবাইকে।

Advertisement

সোমবার গঙ্গাসাগরের বেগুয়াখালির কাছে মাছ ধরে ফেরার সময় ইলিশভর্তি দু’টি নৌকা বা ফিশিং বোট উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ে উল্টে যায়। নৌকায় থাকা মৎস্যজীবীদের চিৎকার শুনে আশপাশের মৎস্যজীবীরা ফিশিং বোট নিয়ে ছুটে যান দুর্ঘটনাগ্রস্ত নৌকাগুলির কাছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নৌকার মৎস্যজীবীরা প্রাণে বাঁচলেও প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কুইন্টাল মাছ জলে ভেসে গিয়েছে। স্থানীয়দের চেষ্টায় কিছু মাছ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

অন্য দিকে, রবিবারের পর সোমবারও ভাঙন-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কপিলমুনির আশ্রম চত্বরে। জলোচ্ছ্বাসের জেরে আশ্রমের এক থেকে পাঁচ নম্বর ঘাট পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তার একাংশ ভেঙে যায়। বিদ্যুতের খুঁটি তলিয়ে যায় সমুদ্রে। এই প্রসঙ্গে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, “পূর্ণিমার ভরা কটালের জেরে নদীবাঁধের বেশ কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা ছাড়া সমুদ্রও উত্তাল রয়েছে। প্রশাসন প্রতিটি বিষয়ে নজর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement