যানজটে অবরুদ্ধ বারাসত। ছবি: সুদীপ ঘোষ
রাস্তা এমনিতেই সঙ্কীর্ণ। যা চওড়া করার কাজ চলছে। এ দিকে, এলাকায় বেড়েছে টোটোর সংখ্যা। বেড়েছে গাড়িও। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পুজোর ভিড়। যার জেরে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে বারাসতের কলোনি মোড় ও হেলাবটতলার মধ্যে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের।
গত সাত-আট দিন ধরে পরিস্থিতি এমনই ভয়াবহ। ওই রাস্তায় দাঁড়ালেই দেখা যায়, বাস, গাড়ি, টোটো সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অভিযোগ, ২০০ মিটার পেরোতেও আধ ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট লাগছে। সেখানে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। মূল রাস্তার কাজ শেষ হলেও দু’দিকের অংশের কাজের জন্য রাস্তা গভীর করে কাটা রয়েছে। তাই মূল রাস্তায় যানজট হচ্ছে।
যদিও পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের পাল্টা দাবি, রাস্তার কাজ হয় রাতে। কিন্তু দু’পাশে যেখানে রাস্তা গভীর করে কাটা, সেখানে টোটো এবং ছোট গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ছে। তাই যানজট হচ্ছে।
বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শুধু রাস্তার কাজই নয়। পুজোর মুখে ওই সব এলাকায় গাড়ি এবং কেনাকাটার ভিড়ও বাড়ছে। তাই যানজট। পূর্ত দফতরের ওই বিভাগকে বলেছি কাজ দ্রুত শেষ করতে।’’
এক পুলিশকর্তা আবার বললেন, ‘‘যে পরিমাণ টোটো বেড়েছে, তাতে যানজট হবেই। আমরা মাঝেমধ্যেই ব্যবস্থা নিই।’’ বাসিন্দাদের অভিযোগ, অটো ও টোটোচালকদের সিংহভাগই শাসকদলের সঙ্গে জড়িত। তাই পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করে না।
বারাসত পুলিশ জেলার সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান, ট্র্যাফিকে গতি আনতে বিশদ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তার জন্য সমীক্ষাও চলছে। পুলিশের দাবি, বর্তমানে এই যানজট হচ্ছে রেল ওভারব্রিজের নীচে বসা পুজোর বাজার এবং সেটি ঘিরে ভিড়ের কারণে।