‘শিক্ষারত্ন’ স্যার

গত কয়েক বছরে জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ফলতার এই স্কুলের সাফল্যের অন্যতম কারিগর অসীম। তাঁর হাতে স্কুলের উন্নয়ন হয়েছে প্রচুর।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

ফলতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:০৬
Share:

অসীমকুমার মণ্ডল

রাজ্য সরকারের শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেলেন ফলতা হরিণডাঙা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীমকুমার মণ্ডল। বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবসে সল্টলেক স্টেডিয়ামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। প্রধান শিক্ষকের পুরস্কার প্রাপ্তিতে খুশির হাওয়া ফলতার স্কুলে। গর্বিত ছাত্রছাত্রী, সহকর্মীরা।

Advertisement

গত কয়েক বছরে জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ফলতার এই স্কুলের সাফল্যের অন্যতম কারিগর অসীম। তাঁর হাতে স্কুলের উন্নয়ন হয়েছে প্রচুর। অসীম স্যারের উদ্যোগে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গঠিত সাংস্কৃতিক দল ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত কলা উৎসবের বিভিন্ন বিভাগে জেলা থেকে আট বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০১৬ সালে নির্বাচন-সংক্রান্ত একটি গানের প্রতিযোগিতায় জেলা স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। ভোটের সময়ে তাদের গান প্রতিটি ব্লকে বাজানো হয়েছিল। কলা উৎসবে লোকগীতি বিভাগে যোগ দিয়ে রাজ্যস্তরে ২০১৭ ও ২০১৮ দু'বছর পর পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। দলগত এবং একক, দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। ২০১৫, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে লোক নৃত্য, লোকগীতি ও একক নৃত্যে জাতীয় পর্যায়ে যোগদান করে স্কুল।

স্কুল সূত্রে খবর, ২০০১ সালে ৫ ডিসেম্বর ফলতার বাসিন্দা অসীম প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার পর থেকে ভোল বদলে যায় স্কুলের। তিনি যোগ দেওয়ার পরে প্রথম চালু হয় বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগ। সর্বশিক্ষা মিশনের আর্থিক সহায়তায় কুড়িটি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ হয় তাঁর সময়ে। বিদ্যালয়-লাগোয়া প্রায় সাড়ে সাত বিঘা জমিতে খেলার মাঠ তৈরি করেন স্যার। এখানে রাজ্য স্তরের দু’টি খো খো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক সময়ে স্কুলে ছিল অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া ছোট কিছু ঘর। বর্তমানে তৈরি হয়েছে তিন তলা ভবন। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২৫০০। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ৪৭ জন। গণিতে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারী অসীমের গবেষণার বিষয়বস্তু দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

সহকর্মী সুপর্ণা দাস, প্রসেনজিৎ রায়রা বলেন, ‘‘স্যার শিক্ষারত্ন পাওয়ায় আমরা গর্বিত। খুব শীঘ্রই আমরা স্যারের জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করব।’’ এই স্কুলেই এক সময়ে শিক্ষকতা করতেন বর্তমানে সাধনচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বিকাশ মণ্ডল। অসীমের শিক্ষারত্ন পাওয়ার খবর পেয়ে সকাল সকাল শুভেচ্ছা জানাতে স্কুলে চলে আসেন বিকাশ।

অসীম বলেন, ‘‘খুবই ভাল লাগছে। আমি গর্বিত। আরও বেশি করে স্কুলের উন্নয়নের চেষ্টা করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement