— প্রতীকী চিত্র।
দামি বাইকে ঝড় তুলে সকালে পাম্পে তেল ভরতে যাচ্ছিল ১৪ বছরের কিশোর। পথেই বাসের সঙ্গে ধাক্কা। বাড়ি ফিরল নিথর দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ়রের ওয়াড়িতে। পোলেরহাট থানার পুলিশ ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে।
সাতসকালে বাবাকে পিছনে বসিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল মিনহাজ মোল্লা। কথা ছিল, হাতিশালার সিক্সথ লেনে বাবাকে কলকাতাগামী বাস ধরিয়ে পেট্রল পাম্পে তেল ভরাতে যাবে সে। সেই মতো, সকাল ন’টা নাগাদ মিনহাজ বাবাকে নিয়ে হাতিশালা সিক্সথ লেনে আসে। তাঁর বাবা সেখান থেকে বাস ধরে কলকাতায় রওনা দেন। আর মিনহাজ পাম্পে যায় বাইকে তেল ভরতে। মিনহাজের মাথায় হেলমেট ছিল না। পোলেরহাট থানা এলাকার ওয়াড়ির পাইকানের কাছে তার বাইকের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-ঘটকপুকুর রুটের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ধাক্কার অভিঘাতে রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে কিশোর। মাথা গিয়ে সোজা আছড়ে পড়ে পিচ রাস্তায়। মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে। জ্ঞান হারায় মিনহাজ। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে রাস্তায় পড়ে থেকেই মৃত্যু হয় বছর ১৪-এর মিনহাজের। মিনহাজের বাইকের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি ছিল বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশি নজর একটু আলগা হলেই বাইক আরোহীদের একটি অংশ হেলমেট পরতে চান না। তাতে দুর্ঘটনার সংখ্যা লাফিয়ে বৃদ্ধি পেলেও মানুষের হুশ ফিরছে না।
জানা গিয়েছে, মিনহাজের বাড়ি পোলেরহাট থানার জিরেনগাছা গ্রামে। পুলিশ ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সেই রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে।