প্রতীকী ছবি
এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল মঙ্গলবার সকালে। তাঁকে খুন করা হয়েছে— এই অভিযোগে মিনাখাঁ থানার নেরুলি বৈদ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা শ্বশুরবাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আয়েশা বিবি (২৭)। তাঁর স্বামী বাবলু গাজি, শ্বশুর সহিদুল গাজি, শাশুড়ি রসিদা বিবি এবং ননদ রাইমা বিবির খোঁজ চলছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে বসিরহাটের পিঁফার ফতুরআটি গ্রামের বাসিন্দা আয়েশাকে বিয়ে করে বৈদ্যপাড়ার বাবলু। তাঁদের তিন বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে। বিয়েতে জামাইয়ের চাহিদা মতো সব কিছুই দেওয়া হয়। অভিযোগ, আরও পণের দাবিতে আয়েশাকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মেয়ে হওয়ার পরে অত্যাচার আরও বাড়ে বলে অভিযোগ। ঝামেলা মেটাতে গ্রামে দু’বার সালিশি সভা হয়। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।
পুলিশ জানায়, বাবলু নৌকোয় বালি তোলার কাজ করে। আয়েশা অশান্তি ও অত্যাচার এড়াতে মেয়ে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। আয়েশার পরিবারের দাবি, দিন কয়েক পরে স্ত্রীকে মারধরের ভয় দেখিয়ে বাড়ি নিয়ে যায় বাবলু। সোমবার রাতে অতিরিক্ত মারধর করায় আয়েশার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ বাপের বাড়ির লোকজনের। পরে তাঁকে ঘরের ভিতরে গামছার ফাঁসে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এ দিন সকালে ঘরের ভিতরে আয়েশার দেহ দেখতে পান এলাকার মানুষ। তাঁরা বাপের বাড়ি এবং মিনাখাঁ থানায় খবর দেন। শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয় এলাকার লোকজন। ভাঙচুর চলে। পুলিশ গিয়ে জনতাকে শান্ত করে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
গ্রামের মানুষের দাবি, পুলিশ চলে যাওয়ার পরে সকাল ৮টা নাগাদ আয়েশার বাপের বাড়ির লোকজন গ্রামে আসে। বাবলুদের দু’টি ঘরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গ্যাস সিলিন্ডার ফাটায় আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। পাড়ার লোকজনকে নিয়ে পুলিশ আগুন নেভায়। ততক্ষণে অবশ্য আসবাবপত্র সবই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।