চিটফান্ড মামলায় সিবিআই হেফাজতে থাকার পরে সম্প্রতি জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানি। ফাইল ছবি।
পুর পরিষেবা নিয়ে পুরসভার বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন খোদ পুরপ্রধান। ঘটনাটি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের হালিশহরের। যার জেরে শিল্পাঞ্চলে আরও এক বার প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পাশাপাশি,এ দিন ভাটপাড়াতেও দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে রাস্তা সারাই নিয়ে পাশাপাশি দুই ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধিদের মধ্যে তীব্রবাদানুবাদ হয়।
চিটফান্ড মামলায় সিবিআই হেফাজতে থাকার পরে সম্প্রতি জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানি। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ওই পুরসভার দায়িত্ব রয়েছে উপ-পুরপ্রধান শুভঙ্কর ঘোষের হাতে। খাতায়কলমে রাজু পুরপ্রধান থাকলেও পুরসভায় বিশেষ আসেন না। বুধবার বিকেলে তিনি পুরসভায়গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাজু বলেন, ‘‘পুরসভার যে পরিমাণ কর নেওয়ার কথা, তার থেকে বেশি টাকা এলাকাবাসীকে ‘অকুপাই ট্যাক্স’ হিসাবে দিতে হচ্ছে। বিষয়টি বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে জানাতে ফোন করেছিলাম। তাঁকে না পেয়ে তাঁর ভাই, কাঁচরাপাড়ার পুরপ্রধান কমল অধিকারীকে জানিয়েছি।’’ বিষয়টি জানতে কমলকে ফোন করা হলে তিনি ফোনের কথা অস্বীকার করেন।
কোন্দলের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় হালিশহরের উপ-পুরপ্রধান এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘এলাকায় সমস্তপরিষেবা পাচ্ছেন নাগরিকেরা। যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।’’ পুর এলাকায় গত ছ’মাসের উন্নয়নমূলক কাজের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শুভঙ্কর দাবি করেন, ‘‘অকুপাই ট্যাক্স ২০২০ সাল থেকে নেওয়া হচ্ছে।’’ দলীয় কোন্দল প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর–দমদম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘‘হালিশহরের পুরপ্রধান কী বলেছেন, জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।’’
বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূল দলটায় যে কারও মধ্যে মিল নেই, হালিশহর পুরসভা ফের সেটাই দেখাল। ভাটপাড়াতেও একই অবস্থা।’’