ধৃত আসমত আলি মণ্ডল।
মোটা বেতনের কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশিদের এ দেশে নিয়ে আসার একটি চক্রের হদিস পেল হাবড়া থানার পুলিশ।
রবিবার বিকেলে স্থানীয় রাজবল্লভপুর এলাকা থেকে আসমত আলি মণ্ডল নামে এক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তারপরেই চক্রের সম্পর্কে পুলিশ জানতে পারে। আসমতের বাড়ি রাজবল্লভপুর মুসলিম পাড়ায়। সে ওই চক্রের পান্ডা বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তার বাড়ি থেকে পুলিশ সাত বাংলাদেশিকেও গ্রেফতার করেছে। তাদের আসমত চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে এসেছিল।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নিজের বাড়িতে আসমত বেআইনি ভাবে ওই বাংলাদেশিদের আশ্রয় দিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, সময়-সুযোগ বুঝে আন্দামানে কাজের খোঁজে পাঠিয়ে দেওয়া। ধৃত বাংলাদেশিরা পুলিশকে জানিয়েছে, আসমত তাদের টাকার বিনিময়ে এ দেশে এনেছিল। আসমতের বাড়ি থেকে বেশ কিছু ভুয়ো আধার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের একটি চক্রের সঙ্গে আসমতের যোগাযোগ আছে। তাদের মাধ্যমে আসমত গরিব লোকজনদের কাজের প্রলোভন দিয়ে এ দেশে নিয়ে আসে। কিছু দিন নিজের বাড়িতে তাদের রেখে দেয়। পরে আন্দামানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
হাবড়া থানার আইসি গৌতম মিত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশিদের আন্দামানে পাঠিয়ে দেওয়ার পরে সেখানে একটি চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশিরা এ দেশের আধার কার্ড টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করে। আসমতকে জেরা করে ওই চক্রে আরও যারা জড়িত, তাদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার মছলন্দপুর, ফুলতলা, সংহতি, বাইগাছি, কুমড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশিরা চোরাপথের আশ্রয় নিয়ে থাকে। অতীতে এমন ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। এখানে থেকে অপরাধমূলক ঘটনা ঘটিয়ে তারা দেশে ফিরে যায়। কয়েক বছর আগে মছলন্দপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থেকে বসিরহাটে ডাকাতি করেছিল। হাবড়া থানার তরফে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করে জানানো হচ্ছে, বাড়িতে বেআইনি ভাবে আসা বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেবেন না। ভাড়াটের সম্পর্কে পুলিশে জানিয়ে রাখুন। তা না হলে পুলিশ বাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে।