নিহত সফিউল্লা গাজি।
মোটরবাইকে কাকাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক যুবক। হঠাৎ একদল দুষ্কৃতী এসে তাঁদের পথ আটকায়। মোটরবাইক থামাতেই ওই যুবকের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে মাথায় গুলি করে একজন। রক্তাক্ত অবস্থায় মোটরবাইক থেকে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপরেই দুষ্কৃতীরা বোমা ছুঁড়তে ছঁুড়তে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের বাঁকিপুর মোড়ের কাছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে খুনের অভিযোগে ওই গ্রাম থেকেই বাচ্চু শেখ ও সহিদ শেখ নামে দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম সফিউল্লা গাজি (২৬)। তাঁর বাড়িও ওই গ্রামেই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের একটি মাঠের জমি দখল নিয়ে গাজি পরিবারের সঙ্গে শেখ ও মীর পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। হলুদবেড়িয়া মোড়ের কাছে সফিউল্লার একটি ইমারতির দোকান রয়েছে। বুধবার দুপুরে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সে সময় বাঁকিপুর মোড়ে গ্রামে ঢোকার রাস্তায় কয়েকটি গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। তা নিয়ে গ্রামেরই কয়েক জনের সঙ্গে বচসা বেধে যায় সফিউল্লার। বচসা এক সময়ে হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য রাতে দুই পক্ষকে নিয়ে থানায় আলোচনা হয়। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এরপরে ওই দিন রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। তবে যে পরিবারের সঙ্গে সফিউল্লাদের ঝামেলা চলছে সেই পরিবারের কেউ গ্রেফতার হননি। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, পুরনো কোনও বিবাদের জেরেই এই খুন। মৃতের কাকা সালাউদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বোমার ঘায়ে জখম হন কাকা সালাউদ্দিন। দু’জনকেই মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সফিউল্লার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।