দোকানে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু দাদু ও নাতনির

বুধবার সকালে গাড়ি চালানোর সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক ম্যাটাডর চালক গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারে রাস্তার পাশের দোকানে। এরপরে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় গাড়়ি। পালায় চালক। বাদুড়িয়ার আটুরিয়ার ওই ঘটনায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান সূর্যভান বিবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাদুড়িয়া শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০২:২০
Share:

মৃত: নাসিমা খাতুন ও কাসেম আলি মণ্ডল

একটা দুর্ঘটনা, কেড়ে নিল একই পরিবারের তিনটি প্রাণ।

Advertisement

বুধবার সকালে গাড়ি চালানোর সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক ম্যাটাডর চালক গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারে রাস্তার পাশের দোকানে। এরপরে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় গাড়়ি। পালায় চালক। বাদুড়িয়ার আটুরিয়ার ওই ঘটনায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান সূর্যভান বিবি। নাতনিকে স্কুলে তুলে দেওয়ার পথে বিস্কুট কিনতে এসেছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে আরজিকর হাসপাতালে মারা গিয়েছে তাঁর নাতনি নাসিমা খাতুনও (১২)। দোকানটি সূর্যভানের স্বামী কাসেম আলি মণ্ডলের (৭০)। জখম হয়েছিলেন তিনি। বুধবার রাতে মারা গিয়েছেন আরজিকর হাসপাতালে।

Advertisement

গ্রামের রাস্তার পাশেই ছোট্ট মুদির দোকান কাসেমের। তাঁর দুই স্ত্রী এবং এগারোজন ছেলেমেয়ে। দুর্ঘটনার সময়ে কাসেমের সঙ্গে ছিলেন এক স্ত্রী সূর্যভান বিবি ও নাতনি নাসিমা।

স্কুলে যাওয়ার আগে বিস্কুট খাবে বলে বায়না ধরেছিল নাতনি। তাকে নিয়ে দোকানে ঢুকেছিলেন ঠাকুমা। সে সময়েই ম্যাটাডরটি আচমকা ধাক্কা মারে দোকানে। জখম হন আরও কয়েকজন। বিদ্যুতের খুঁটিও উল্টে পড়েছিল। তাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন একই পরিবারের সাজাহান মণ্ডল।

বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গেলে দেখা গেল, কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা মণ্ডল পরিবার। প্রতিবেশীদের চোখেও জল। কে যে কাকে সান্ত্বনা দেবে, ভেবে পাচ্ছেন না।

কাটিয়াহাট বিকেএপি গালর্ল হাইস্কুলে পড়ত নাসিমা। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষিকা-সহ অন্যান্য শিক্ষিকারা এসেছিলেন বাড়িতে। চার ভাইবোনের মধ্যে ছোট নাসিমা। মা সেলিমা বিবি বারে বারে জ্ঞান হারাচ্ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, চাল নিয়ে বেড়াচাঁপায় গিয়েছিল ম্যাটাডরটি। চাল নামিয়ে কাটিয়াহাট হয়ে তেঁতুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত জোরে চলছিল গাড়ি। রাস্তার মধ্যে থাকা বড় বড় হাম্পারও চোখে পড়েনি চালকের। সে মদ্যপ ছিল বলেও স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। হাম্পারের জন্য দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে অনেকের অভিযোগ। চালকের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের তদন্তকারী অফিসারেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement