প্রতীকী ছবি
এক দিনে ৫০ জনের করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ল গোসাবা ব্লকে। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে যথেষ্ট নিরাপদ ছিল সুন্দরবনের এই ব্লক। নদীবেষ্টিত এলাকায় বাইরে থেকে মানুষের যাতায়াত কম ছিল। কিন্তু ক্রমশ বদলাচ্ছে পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, সোমবার, এক দিনেই ব্লকের ৫০ জনের শরীরে করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়েছে। মাসখানেক আগেও যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল পঞ্চাশের আশেপাশে, সেখানে বর্তমানে সংখ্যাটা ২০০ ছাড়িয়েছে। সোমবার পর্যন্ত এই ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ২০৬। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে একজনের। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সোমবার গোসাবা ব্লকের ছোট মোল্লাখালি, কুমিরমারি-সহ একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় মানুষজনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়। ছোট মোল্লাখালি পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ জনের মধ্যে ৩৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ইতিমধ্যেই ছোটমোল্লাখালি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা, বিশেষ করে হাট-বাজার, ফেরিঘাট এলাকাগুলিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ছোট মোল্লাখালি ও আমতলির মধ্যে খেয়া যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হেতালবাড়ি ফেরিঘাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই দ্বীপকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে রেখে করোনা সংক্রমণের মোকাবিলা করতে চাইছে ব্লক প্রশাসন। গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র বলেন, ‘‘গত কয়েক দিনে এই ব্লকে সংক্রমণ যথেষ্ট বেড়েছে। ছোট মোল্লাখালিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাই এই পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে। মানুষকে ভিড় এড়িয়ে চলতে বলা হচ্ছে। পুলিশের তরফ থেকে মাইকে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সংক্রমণের পরিমাণ বাড়লেও এই ব্লকে আক্রান্তদের শরীরে করোনার লক্ষণ সে ভাবে দেখা যায়নি। তাই বাড়িতেই তাঁদের নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গোসাবা ব্লকের জন্য সেফ হোম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে সেটি চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে। কী ভাবে দ্বীপাঞ্চলে হঠাৎ এত সংক্রমণ বাড়ল, তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে ব্লক প্রশাসন।