Madhyamik Examination

হাসপাতালেই পরীক্ষা ছাত্রীর

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে, কুলপির গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:২৯
Share:

দ্রুত: ভাঙড়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ছাত্রীকে। নিজস্ব চিত্র

দুর্ঘটনায় জখম ছাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে বসিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করল। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে, কুলপির গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ কুলপির বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের ছাত্রী তাহেরা খাতুন-সহ ৬ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অটোয় করে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিল। সিট পড়েছে বাগাড়িয়া কালিকা আদর্শ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে। বাগাড়িয়া মোড়ের কাছে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে সামনের একটি গাড়ি হঠাৎ ব্রেক কষে। অটোটি তার পিছনে ধাক্কা মারে। বাঁ পায়ে গুরুতর চোট পায় তাহেরা। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল ছাত্রী। বিষয়টি পুলিশ জানতে পারে। কুলপি থানার ওসি তরুণ রায় নিজে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ওসি বলেন, ‘‘দুঃস্থ পরিবারের মেয়েটি এ বার পরীক্ষা না বসলে এক বছর নষ্ট হত। ওকে পরীক্ষা দেওয়ার সব ব্যবস্থা দ্রুত করে দিতে পেরে ভাল লাগছে।’’

Advertisement

পরীক্ষা দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক পরীক্ষার্থী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলা থানার কালিকাতলা মিলন বিদ্যাপীঠে। পরীক্ষার্থীর নাম রুকসানারা খাতুন। বাড়ি পারগাঁতি এলাকায়। পরীক্ষা কেন্দ্রে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। পরে স্কুলের শিক্ষক ও জীবনতলা থানার পুলিশ গাড়ি করে মঠেরদিঘি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসার পরে কিছুটা সুস্থ হলে হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন প্রশাসনের লোকজন। এর আগে ভূগোল পরীক্ষার দিনও ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তখনও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শাঁড়াপুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অঙ্ক পরীক্ষা দিল স্বরূপনগরের একটি কেন্দ্রের তিন পরীক্ষার্থী। বাদুড়িয়ার একটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে একজন। তাকে রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে পরীক্ষা দেয় মেয়েটি। স্বরূপনগরের একটি স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন দুপুর দেড়টা নাগাদ তিন পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতাল ভর্তি করতে হয়। সেখান থেকেই পরীক্ষা দিয়েছে তারা। হাসনাবাদের ভেবিয়ার একটি স্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই পরীক্ষা দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement