Garbage Collection

ভাগাড় সরানোর দাবিতে আন্দোলন, পানিহাটিতে বন্ধ জঞ্জাল সংগ্রহ

পানিহাটির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দারা তাই টানা আট দিন ধরে ভাগাড়ের রাস্তার মুখে রিলে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। ফলে পানিহাটি জুড়ে আবর্জনা সংগ্রহ বন্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৩০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

পঞ্চাশ বছর ধরে চলছে ভাগাড় সরানোর দাবিতে আন্দোলন। কিন্তু অভিযোগ, মিলেছে শুধুই প্রতিশ্রুতি। নতুন ভাগাড়ের জন্য খোদ মুখ্যমন্ত্রী শিলান্যাস করলেও ভাগাড় সরেনি। যা এখন পাহাড়ের চেহারা নিয়েছে।

Advertisement

পানিহাটির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দারা তাই টানা আট দিন ধরে ভাগাড়ের রাস্তার মুখে রিলে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। ফলে পানিহাটি জুড়ে আবর্জনা সংগ্রহ বন্ধ। ভাগাড়ে আর আবর্জনা ফেলতে দেবেন না বাসিন্দারা। ভাগাড়ে গাড়ি ঢোকাও বন্ধ। শুক্রবার বাসিন্দারা বললেন, ‘‘দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই আর কোনও উপায় নেই।’’

ভাগাড়ে গাড়ি ঢুকতে বাধা দেওয়ায় খড়দহ থানায় অভিযোগ করেছে পুরসভা। কিন্তু তদন্তকারীরা নগরপাল-সহ জেলা প্রশাসনকে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন, তাতেও লেখা হয়েছে, কী মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিষয়টি জানাতেও বলা হয়েছে, যাতে বাসিন্দারা সুস্থ ভাবে জীবনযাপন করতে পারেন। বাসিন্দাদের বিক্ষোভ অযৌক্তিক নয় বলেই মত স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি সম্রাট চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, ‘‘বহু বছর ধরে ভাগাড় উচ্ছেদ কমিটি আন্দোলন করছে। বাসিন্দাদের দুর্ভোগের সীমা নেই।’’

Advertisement

রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দারা জানান, সাংসদ সৌগত রায় যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেইবিষয়টি জানেন। উদ্যোগীও হয়েছেন অনেক বার। কিন্তু কাজ হয়নি। ১৯৭৪ সালে ভাগাড় সরানোর জন্য আন্দোলন শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তিনি জানান, ’৮১ সালে আন্দোলন বড় আকার নিয়েছিল। জেলা প্রশাসন সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বার বার। তাঁর কথায়, ‘‘আন্দোলনের জেরে ২০০১ সালে ৫৫ জন গ্রেফতারহই। হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। কিন্তু কেএমডিএ পাঁচিল দেওয়া ছাড়া কিছু করেনি।’’

এক আন্দোলনকারী জানান, ভাগাড় সরাতে রাজ্য ১৯৭৫ সালে মহিষপোঁতায় জমিও কেনে। কিন্তু ভাগাড় সরেনি। ২০১২-তে জানানো হয়, ওই জমিতে জঞ্জাল থেকে বিদ্যুৎ তৈরি হবে। প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন সাংসদ। কিন্তু মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনের জেরে ২০১৬-তে ৪৬৫ দিন ভাগাড়ে আবর্জনা ফেলা বন্ধ ছিল। তখন মহিষপোঁতায় ফের নতুন জমি চিহ্নিত হয়। ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী শিলান্যাসও করেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।

২০২০-তে ফের আন্দোলন শুরু হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে সুডা-র তরফে ভাগাড় উচ্ছেদ কমিটিকে জানানো হয়, এক বছরের মধ্যে ভাগাড় সরানো হবে। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, সমস্যাটি নিয়ে তাঁরাও শীর্ষ মহলে আলোচনা করছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement