গ্রামবাসীদের প্রতারণা করে ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ। — প্রতীকী ছবি।
অভিনব কায়দায় ৪০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। প্রতারণার ফাঁদে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানা এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। অভিযুক্তকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের নৈনান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মগরাহাট থানার নৈনান এলাকার বাসিন্দা শামসুদ্দিন গাজি। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানা এলাকায় সুপরিকল্পিত ভাবে ব্যবসায়িক প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন বলে অভিযোগ। ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার কয়েক হাজার মানুষ। প্রায় ৪০ লক্ষ টাকারও বেশি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ধৃত শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কাপড়ের উপর জরির কাজ করানোর ব্যবসার মাধ্যমে প্রতারণা ছক কষেন শামসুদ্দিন। প্রথমে শাড়ির ‘সিকিউরিটি মানি’ হিসেবে জরির কাজ করানোর নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে অগ্রিম নেওয়া হত। জরির কাজ করে সেই শাড়ি ফেরত দিলে তবেই মজুরি-সহ জমা করা ২ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা গ্রামবাসীদের জানান শামসুদ্দিন। অভিযোগ, এ ভাবেই কুমারগঞ্জের প্রায় ২ হাজার মানুষের থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা তুলে নিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেন তিনি।
অভিযোগ দায়ের হয় কুমারগঞ্জ থানায়। শুক্রবার অভিযুক্ত সামসুদ্দিনকে তাঁর নিজের বাড়ি মগরাহাট থানা অন্তর্গত নৈনান গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে দক্ষিণ দিনাজপুর নিয়ে যেতে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতে পেশ করা হয়।